মোহাম্মদ নূরণবী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নাগালের বাহিরে চলে যাওয়ার কারনে বিগত ১৭ মাস পর্যন্ত বন্ধ ছিলো দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বেহাল অবস্থায় পরিনত হয়ে পরে। যদিও সরকার নানাভবে চেষ্টা করেছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এই বেহাল দশা থেকে টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু বাস্তবে তার কতোটা সম্ভব হয়েছে তা সকলেরই জানা। শিক্ষা ব্যবস্থা পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার লক্ষে রবিবার বিকেলে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে দেশের সব স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার কথা জানান শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
১২ই সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব স্কুল কলেজ খুলে দেওয়া হবে, তবে এবছর এবং আগামী বছর তথা (২০২১ এবং ২০২২) সালে যারা এসএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে শুধু তারাই সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করবে, তবে এর সাথে যুক্ত হবে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও।
বাকিদের ক্লাস হবে সপ্তাহে ১ দিন করে, তবে এটিও খুব শিগগিরই আপগ্রেড করা হবে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন আমরা এখনই সকল শিক্ষার্থীদের একসাথে ক্লাসে আনতে পারতাম কিন্তু সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মানানো সম্ভব হবে না, তাই এহেন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী পরিস্থিতি খুব শিগগিরই আমাদের অনুকূলে চলে আসবে, তখন আমরা পুরোপুরি ভাবে ক্লাস শুরু করবো।
ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বললেও করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহতার কারনে তা সম্ভব হয়নি তবে এবার সেই আশার আলো জ্বলে উঠেছে শিক্ষার্থীদের মনে। রবিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে খুশিতে ডগমগ হয়ে গেছে শিক্ষার্থীরা।
এই সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে স্কুল কলেজ এর সাথে তারা বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারবেন কি না। যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পক্ষে থাকে তাহলে এই মাসের মধ্যেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খোলার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অফলাইনে পরিক্ষা নেওয়া শুরু করেছে, অনেকেই নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়াটা মনেহয় তেমন সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে আবাসিক হলে যেসব শিক্ষার্থীরা থাকেন তাদের অবশ্যই টিকা নিয়ে হলে উঠতে হবে।