স্টাফ রিপোর্টারঃ নবীন মাহমুদ
কাঁঠালিয়া উপজেলার ৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মিত হলো দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার। এসব প্রতিষ্ঠানে আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হতো। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার ছাড়াই কর্মসূচি পালন করতে হতো।
বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের নজরে এলে তিনি যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশ দেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহম্মেদুর রহমান বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ে ২৭টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭টি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।
ড. সেকান্দার হায়াত খান কলেজে ও কাঁঠালিয়া সদর ফাজিল মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নির্মাণে এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৩ টাকা এবং বাকি ৫২টি শহীদ মিনার নির্মাণে প্রতিটিতে খরচ হয়েছে ৯০ হাজার টাকা।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনায় দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার গড়ে ওঠায় এখন থেকে ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ সব দিবস পালন করা যাবে।
ড. সেকান্দার হায়াত খান কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক দৈনিক নবজাগরণকে জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার ছিল না। স্থানীয় এমপি জননেতা বজলুল হক হারুন স্যার শহীদ মিনার করে দেওয়ায় এখন থেকে দিবসগুলো পালনে আমাদের শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব হয়েছে। আমাদের কলেজের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নতুন শহীদ মিনার পেয়ে দারুণ খুশি।
কাঁঠালিয়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাদিম ইসলাম বলে, প্রতিবছর আমরা স্কুলের সামনে ছোট একটি ভাঙাচুরা শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতাম। এখন আমাদের স্কুলে বড় এবং সুন্দর শহীদ মিনার তৈরি হয়েছে। কেবল ভাষা দিবসই নয়, আমাদের এ শহীদ মিনার হবে চেতনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রধান স্থান।