আসমাউল হুসনা,চকরিয়াঃআগামী ১১ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল পৌর নির্বাচন।সকল প্রার্থীগণ তাঁদের ভোটের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু করোনা রোধে সরকারের পক্ষ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করায় নির্বাচন কমিশন হতে ঘোষণাক্রমে ১১ ই এপ্রিল চকরিয়াসহ সকল ইউপি নির্বাচন ও পৌর নির্বাচন বন্ধ থাকবে।এতে প্রার্থীগণ চিন্তিত হয়ে পড়েছে ।২৯ই মার্চ সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই নির্দেশনা জারি করে।
নির্দেশনাসমূহঃ
০১.সকল ধরনের জনসমাগম (সামাজিক /রাজনৈতিক /ধর্মীয়/অন্যান্য)সীমিত করতে হবে।উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলো।বিয়ে /জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।
০২.মসজিদসহ সকল ধর্মীয় উপসনালয়ে যথাথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
০৩.পর্যটন/বিনোদনকেন্দ্র সিনেমা হল/থিয়েটার হলে জনসমাগম সীমিত করতে হবে এবং সব ধরনের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করতে হবে।
০৪/গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবেনা।
০৫.সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে।
০৬.বিদেশ হতে অাগত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক(হোটেলে নিজ খরচে)কোয়ারেন্টিনে নিশ্চিত করতে হবে।
০৭.নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী খোলা /উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে,ওষুধের দোকানে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
০৮.স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
০৯.শপিংমলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
১০.সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(প্রাক-প্রাথমিক,প্রাথমিক,মাদ্রাসা,মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
১১.অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি / আড্ডা বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০ টার পর বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
১২.প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক পরিধানসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৩.করোনায় আক্রান্ত/করোনার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদের ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
১৪.জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল সরকারি -বেসরকারি অফিস! প্রতিষ্ঠান শিল্পকারখানাসমূহ ৫০ ভাগ জনবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা /অসুস্থ /বয়স পঞ্চান্নোর্ধ কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৫.সভা,সেমিনার,প্রশিক্ষণ,কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৬.সশরীরে উপস্থিত হতে হবে এমন যে কোন ধরনের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
১৭.হোটেল -রেস্তোরাঁসমূহে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক মানুষের প্রবেশ ধারিত করতে হবে।
১৮.কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।