ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত কামরাঙ্গীরচরে পুলিশের জুলুম মারাত্মক আকারে বেড়েই চলেছে। সাধারণ জনগণের রক্ষকই এখন ভক্ষকের রূপ ধারণ করেছে। এলাকাবাসির কথামতে বিগত লকডাউনের সময় এখানে টাকার বিনিময়ে দোকান খোলা রাখার অনুমতি দিত পুলিশ। এক্ষেত্রে তারা ৫০-২০০/= পর্যন্ত নিত। আর টাকা দিতে অস্বীকার করলে করা হত নির্যাতন এবং থানায় ধরে নিয়ে যাবার হুমকি দিত পুলিশ।
বর্তমানে রাস্তার পাশের ভ্রাম্যমান দোকানগুলো থেকে প্রতিদিন ১০০/= টাকা করে নেয় পুলিশ। এটাই শেষ নয় গভীর রাতে আবার টাকা চায় নইলে তাদের মারধর করতেও পিছপা হয়না।
ভ্রাম্যমান ফুচকার দোকানদার মো: সুমন প্রথমে কিছু বলতে অস্বীকার করলেও পরে সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রাকে সব খুলে বলেন-
” জলে বইয়া কি কুমিরের লগে যুদ্ধ করন যাই? এগুলা কইলে আমগোই বিপদ। ডেইলি ১০০ করে মাসে ৩০০০ টাকা দেওন লাগবো তারপর আবার রাইতে আইসা টাকা চায় না দিলেই মাইর-লাথি তো আছেই। সব টাকা তো থানাতেই যায়। সরকার পাইলেও বুঝতাম ভ্যাট দিছি কিন্তু সব তো পুলিশ ই ভাগ কইরা লয়। আমরা আর শান্তি পামুনা।”
বর্তমানে সবার মনে একটাই প্রশ্ন এ অবস্থার কি পরিবর্তন হবে নাকি সারাজীবন পুলিশকে ভাগ দিয়েই ব্যবসা চালাতে হবে।