ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের হাজী পাড়ার মোঃ তরিকুল ইসলামের( ৩৬) স্ত্রী মোছাঃ রহিমা বেগম( ৩২) গতকাল ২৬/২/২১ রোজ শুক্রবার আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের সময় স্বামী মোঃ তরিকুল ইসলাম হাটবাজার সব্জী তরকারি ক্রয় করতে তালসার বাজারেে আসলে স্ত্রী রহিমা বেগম সেই সুযোগে উধাও। স্বামী মোঃ তরিকুল ইসলাম সাংবাদিক দের জানান আমি বাজার থেকে বাড়ি আসলে সব্জীভর্তি ব্যগ নিয়ে ডাকতে থাকি কোথায় গেলে আমি বাজার থেকে বাড়ি আসছি তুমি কোথায়। আমার একটি মেয়ে মোছাঃ তন্নিকা বয়স ১২ বছর একটি ছেলে বয়স ৮ বছর। আমার মেয়ে তন্নিকা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে এসে বলে আব্বু আম্মু ঔষধ কিনতে তালসার বাজার গেছে। তখন আমি আমার স্ত্রী রহিমা বেগমের মোবাইল নং ফোন করি তখন আমাকে বলে আমি ঔষধ কিনে আসছি। কিন্তু সন্ধা হয়ে গেল বাড়ি ফিরে আসলো না তখন মনে মনে সন্দেহ হতে লাগলো। এরই মধ্যে একই পাড়ার দুই সন্তানের জনক মোঃ জামাল হোসেন (৩৩) পিতা মোঃ দাউদ হোসেন কে সন্দেহ করা হয় বিগত দিনের কথা উল্লেখ করে।এই জামাল হোসেন বিগত ৫ থেকে ৬ বছর পুর্বে রহিমা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আমরা জানতে পারি এটা মোবাইল ফোনে কথা বলার পরিপ্রেক্ষিতে। রহিমা বেগম অনেক ছল চাতুরি করে সেটা কাটিয়ে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যায়।১ বছর ১০মাস পর বিদেশ থেকে আবার বাংলাদেশে আসে। আজ ১ বছর বাড়িতে অবস্থান করছে ভাল কিন্তু পুরাতন প্রেম সেটা চলতেই থাকে।এরই ফলশ্রুতিতে গত শুক্রবার ২৬ /২/ ২১ মোঃ জামাল হোসেন এর সহিত আমার দুই সন্তান রেখে তাদের কথা নিজের প্রেমের কাছে বলি দিয়ে অজানাই পাড়ি দিয়ে আমার জমি বিক্রি করা টাকা ও এন জি ও থেকে উত্তোলন করা টাকা নিয়ে উধাও হয়। টাকার কথা জানতে চাইলে বলেন আমি ৩ লক্ষ টাকা জমি বিক্রি করে এন জি ও থেকে উত্তোলন করে ঘরের কাজ করবো বলে তার নিকট রেখে ছিলাম সেই টাকা নিয়ে সে জামালের সাথে অজানাই পাড়ি দেয় আমি আমার টাকা ও স্ত্রী চাই প্রতারক লম্পট জামালের বিচার চাই।এই দিকে মোঃ জামাল হোসেন এর বাড়ি যেয়ে তার মা মোছাঃ জামেনা খাতুনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ছেলে জামাল হোসেন তার সন্তান দুটি দুটিই ছেলে ১১ ও ৫ বছর বয়স এ দিক থেকে জামালের স্ত্রী মোছাঃ আয়না খাতুনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন শুধু আমার স্বামী নয় ঐ মেয়ের ও বিচার হোক অভিযুক্ত ভাই মোঃ ইরফান হোসেন কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমার ভাই আমি কি চাইবো ভাই আর একটা মেয়ে নিয়ে পালিয়ে যাক। কানটানলে মাথা আসে সেই হিসাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে। এই দিকে থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন করেছি। কোটচাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের জানান অভিযোগ তদন্ত করে এর ব্যবস্হা নিব।