সিরাজ উল্লাহ(কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী)প্রতিনিধিঃ-নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আলাউদ্দিন নামে এক সিএনজি চালক নিহত হয় ও অর্ধশতাদিক আহত ১৫ জনের মত গুলি বৃদ্ধ হয়।বুধবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বাদী হয়ে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ আরো গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, বসুরহাট বাজারে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় সংঘর্ষকারীরা পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করায় এবং একই সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ওসি সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আহত করে।এই ঘটনার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।অপরদিকে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির সময় আলাউদ্দিন নামে এক সিএনজি চালক নিহত হয়, তার বাড়ি চরফকিরা ইউনিয়নের চরকালী গ্রামের বলে জানা যায় এবং গুলি বৃদ্ধ অবস্থায় আরো অনেকেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা সহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আছে বলে জানা যায়। অপরদিকে গ্রেফতার কৃত আসামীদের নোয়াখালী মাইজদী কোর্ট চালান দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়