সিরাজ উল্লাহ(কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী)প্রতিনিধিঃ- নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে শুক্রবার বিকালে কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থিত আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ, শটগানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়েছে।এদিকে সংঘর্ষের ঘটনাস্থল থেকে আসার পথে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার নামক স্থানে আসলে মিজানুর রহমান বাদল সমর্থিত ফখরুল ইসলাম সবুজের নেতৃত্বে রাস্তায় ব্যারিকেড দিলে আবদুল কাদের মির্জা গাড়ী বহর আটকা পড়ে যায় পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।রাতে কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার মিলনায়তনে দলীয় নেতা কর্মী ও সাংবাদিকদের বলে এমপি একরাম চৌধুরীর ইন্ধনে চাপরাশিরহাটে মিজানুর রহমান বাদল টেকের বাজারে ফখরুল ইসলাম সবুজ বাহিনী আমার ও আমার নেতা কর্মীদের উপর অস্ত্র সস্স্র নিয়ে হামলা করে এতে আমার ৪০-৫০ জন নেতা কর্মী আহত হয়।তাদের সাথে এক হয়ে অস্ত্রের জোগান দিয়েছে আবদুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান,নজরুল ইসলাম শাহীন, হাসিবুস শহীদ আলোক,ফখরুল ইসলাম রাহাত,মাহবুবুর রশীদ মন্জু,মাহবুবুর রহমান আরিফ অস্ত্র নিয়ে গুলি করে এতে প্রশাসনের এসপি,ওসি,ডিসি ও জড়িত আমি সবায়র বিরুদ্ধে মামলা করবো এছাড়াও ফেনীর নিজাম হাজারি এমপি,দিদারুল কবির রতন,স্বপন মিয়াজি, সোনাগাজী চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপন,নোয়াখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান,সচিব বেলায়েত হোসেন, এপিএস মহিতুল, মতিন, নাছেরকে ও মামলার আসামি করা হবে বলে জানান।সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে শনিবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল কর্মসুচী ঘোষণা করেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।