বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একজন গণমাধ্যম বান্ধব সরকার প্রধান। গণমাধ্যমের উন্নতির জন্য যা যা দরকার, সবই তিনি করবেন।
অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘সুশাসন ও উন্নয়নে যোগাযোগ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক সেমিনার। গত ৬ই মার্চ ২০২১ শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় পিআইবির সেমিনার কক্ষে, শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ডঃ গোলাম রহমান, সম্পাদক, আজকের পাত্রিকা ও সাবেক তথ্য কমিশনার বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, সুশাসন ও উন্নয়নে যোগাযোগ ও গণমাধ্যম কিভাবে ভুমিকা রেখে চলেছে, তা, উপস্থাপন কালে ডঃ রহমান বলেন, একটি দেশের গণতান্ত্রিক অবস্থার পরিমাপক হচ্ছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। এবং একই সাথে সঠিক তথ্য উপস্থাপনা করে উন্নয়নের সহায়তাকারীর ভুমিকা পালন করে গণমাধ্যম। প্রবন্ধে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সাথে “Good Governance “এর সম্পৃক্ততা ওতুলে ধরেন তিনি।
সেমিনারে, সভা প্রধান ও সঞ্চালকের ভুমিকা পালন করেন পিআইবি মহাপরিচালক, জনাব জাফর ওয়াজেদ। তিনি বলেন, চাপের মুখে কখনোই থেমে থাকেনি গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করা যায়না। ১৯৭১ সালের গণমাধ্যম গুলোই এর বড় প্রামাণ। বলা যেতে পারে ‘৭১ এর ৬ই মার্চ সরকারের প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা হয়েছিল, তবুও পিপলসদের স্বাধিকারের কথা উঠে এসেছিল গণমাধ্যমে। ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে রাজশাহী খুলনা সহ অন্যান্য বেতার কেন্দ্র ও সংবাদপত্র গুলো “জনগণের মাধ্যমে’ পরিনত হয়েছিল। জনগণের ভাষাকে সামনে নিয়ে এসে গণমাধ্যম গুলো হয়ে উঠেছিল জনগণের মুখপাত্র।
এছাড়া ৭৫ ‘র ১৫ই আগস্টের পর থেকে পর পর দুটি সামরিক শাসনামলে, নিপীড়িত হয়েছিল বাংলাদেশের গণমাধ্যম। কোন খবরটি ছাপা হবে, বা কোন খবর, খবরের পাতায় আসবেনা, তা সামরিক জান্তারা ঠিক করতেন। কিন্তু গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। তখন “হরতাল” শব্দ লেখা যাবেনা বলে নিষেধাজ্ঞা এলে, সংবাদমাধ্যম গুলো লিখত “সকাল-সন্ধ্যা কর্মসূচী”। সভা প্রধান জাফর ওয়াজেদ বলেন, সামরিক শাসক জিয়ার শাসনামলে উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষে মারা গেছে অনেক মানুষ। ৬০ জন নারী, জেলা প্রশাসকের কাছে দেহ ব্যাবসায়ের লাইসেন্স চাইতে এসেছিল। কিন্তু দুর্ভিক্ষের এমন ভয়াবহতায়ও, দুর্ভিক্ষ কে দুর্ভিক্ষ লেখা যাবেনা বলে চাপ প্রয়োগ করা হলে, সে সময় গণমাধ্যমকর্মী লিখে দেন “উত্তরবঙ্গে ভিক্ষার অভাব” হয়েছে – এভাবেই গণমানুষের কথা বলে গণমাধ্যম।
সেমিনারের শেষদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যমের পরিপন্থী কিনা? এ বিষয়ে ডঃ গোলাম রহমানের কাছে প্রশ্ন রাখলে, তিনি সহমত প্রকাশ করে বলেন, “তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পিআইবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একজন গণমাধ্যম বান্ধব সরকার প্রধান। পিআইবি এর বড়ো উদাহরণ।গণমাধ্যমের উন্নতির জন্য যা যা দরকার, সবই তিনি করবেন।
সেমিনারে আর ও উপস্থিত ছিলেন আফরাজুর রহমান, পরিচালক প্রশাসন, উপ পরিচালক জাকির হোসেন, প্রশাসন, সহকারী অধ্যাপক পংকজ কর্মকার,
প্রভাষক লাজিনা আক্তার জ্যাসলিন ও প্রভাষক শুভ কর্মকার। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমার সমন্বয়কারী মিজ কামরুন নাহার।পিআইবির ২০১৯-২০২০, এবং ২০২০ – ২০২১ বর্ষের সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা (পিজিডিজে) বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।