স্টাফ রিপোর্টার. এম. আই বাবু
ঐতিহ্যের লীলা ভূমি সুন্দরবনের কোলঘেষে অবস্থিত সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার
(ব-দ্বীপ) গাবুরা ইউনিয়ন।
খোলপেটুয়া নদীর তীরবর্তী ১২ নং গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শেখ পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন শেখ আজিজুল ইসলাম। তার দাদার নাম মৃত কেনা শেখ। নানার নাম মৃত খতিব মিস্ত্রী. বাবার নাম মোঃ লুৎফার শেখ। মায়ের নাম মোছাঃ লায়লা খাতুন।
তারা ৮ ভাই ৩ বোন।
তিনি পরিবারের মেজো ছেলে. তার স্ত্রীর নাম সালমা খাতুন. তিনি এক কন্যা সন্তান (আখি) ও দুই পুত্র সন্তান (সাইফুল ও শাহিন) এর পিতা। তার আর্থিক অবস্থা ছিলো খুবই খারাপ কিন্তু ছিলো মানুষের জন্য ভালোবাসা ও উদার মনমানসিকতা। ছোট থেকেই সুন্দরবনের ভিতরে গিয়ে বাঘ সহ বিভিন্ন প্রজাতির হিংস্র প্রানীর সাথে লড়াই করে মধু, কাকড়া ও মাছ আহরণ করা সহ
বাগদা ও রেনু পোনার ব্যবসা করে অনেক দুঃখ্য কষ্ট সহ্য করে বড় হয়েছেন। ছোট কাল থেকেই তার একটা বদঅভ্যাস ছিলো. তিনি নিজে কষ্টের মধ্যে থাকলেও সবসময় নিঃস্বার্থ ভাবে মানুষের উপকারের জন্য ব্যস্ত থাকতেন।
৯নং সোরা গ্রামের ছোট-বড় ধনী-গরীব কৃষক-শ্রমিক ছাত্র যুবক সকল শ্রেনী পেশার মানুষ তাকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন. কারন সকলের সাথে তিনি বন্ধু সুলভ আচরণ করতেন বড়দের সন্মান আর ছোট স্নেহ করতেন. গরীব দুঃখী খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষের সর্বদা খোজখবর নিতেন. সুখে-দুঃখে আপদে-বিপদে তাদের পাশে দাড়াতেন। অন্যের সুখের জন্য নিজেকে বিসর্জন দিয়েছেন তিনি। কষ্টের ফল হিসেবে ধীরে ধীরে তিনি মানুষের কাছে ভিশন জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তারই ভিতরে স্থানীয় সন্ত্রাসী আর প্রাক্তন মেম্বারদের অন্যায় অত্যাচার জুলুম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নিলো নিরাহঙ্কারী. গরীবের বন্ধু. অসহায় অবহেলিত হতদরিদ্র ও নির্যাতিত মানুষের আস্থা, যুব সমাজের অহংকার. অতিসৎ ও তরুণ জননেতা- শেখ আজিজুল ইসলাম কে গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করাবেন। এলাকাবাসীর সিদ্ধান্ত মত এবং সকলের আর্থিক সহযোগিতায় এলাকাবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
কিন্তু সে বার আর্থিক আর বিরোধী প্রার্থীর চক্রান্তে নির্বাচনে হারলেও মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় পরবর্তী নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। সেই থেকে শুরু হলো তার স্বপ্ন পুরনের পরীক্ষা। তার একটি মাত্র স্বপ্ন অসহায় অবহেলিত হতদরিদ্র ও নির্যাতিত মানুষের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়ানো। সেই স্বপ্ন অনুযায়ী পথচলা শুরু করলো নতুন ভাবে। সাধারণ মানুষের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একতাবদ্ধ ভাবে এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করতে লাগলেন। সকলের প্রচেষ্টায় রাস্তা-ঘাট. হাট-বাজার. ব্রীজ-কালভার্ট সব কিছুর উন্নয়ন হতে শুরু করলো। বয়স্ক প্রতিবন্ধী বিধবা বাঘেধরা ইত্যাদি ভাতা শত ভাগ করতে নিরালস পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার সকল ভালো কার্যক্রম আর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু চোরাচালানকারী দখলবাজ চাঁদবাজরা তাদের নিজেদের সার্থ হাসিলের জন্য আজিজুল মেম্বার কে নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। মিথ্যা মামলা হামলা আর অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। এমন কি তাকে ঘায়েল করতে তার বাবা ভাই সহ আত্নীয় স্বজনের নামেও মিথ্যা মামলা হামলা আর নির্যাতনের মত যঘন্য কাজে লিপ্ত থাকে বিরোধী পক্ষরা।
তারপরও পিছপা হননি তিল পরিমান ও. মিথ্যা মামলা হামলা আর নির্যাতনের স্বীকার হয়েও যেন অসহায় অবহেলিত হতদরিদ্র ও নির্যাতিত মানুষের উপর থেকে ভালোবাসার কমতি নাই তার মাঝে. গোপনে এসে আগের মতই সকলের খোজখবর নিচ্ছেন সব সময়. সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করে আল্লাহর উপর ভরশা রেখে তার অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার লক্ষ্যে ছুটে চলেছেন সবার মাঝে। আর কয়েক মাস পরেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন. নির্বাচন কে কেন্দ্র করে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় চলছে একপ্রকার অন্যরকম আমেজ. প্রচার-প্রচারণা আর চায়ের চুমুকে ভোটের গল্ল। এই প্রচার প্রচারণায় উন্নয়ন. মানবিকতা দক্ষতা সততা সব দিক দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে সেই মানবতার ফেরিওয়ালা. অসহায় অবহেলিত হতদরিদ্র ও নির্যাতিত মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার শেষ ঠিকানা. যুব সমাজের অহংকার. অতিসৎ ও তরুণ জননেতা- শেখ আজিজুল মেম্বার। মা বোন থেকে শুরু করে বাচ্চা বুড়া যুবক সবার মুখে একটাই নাম আজিজুল মেম্বার আবারও তাকে ১২ নং গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার হিসেবে দেখতে চাই এলাকাবাসী। এই বিষয়ে আজিজুল মেম্বারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন- আমি ছিলাম সামান্য একজন জেলে সুন্দরবনে কাজ করে কোনো ভাবে টেনেটুনে সংসার চালাইতাম অনেক কষ্ট সহ্য করে বড় হয়েছি. সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় শ্যামনগর উপজেলার সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন গাবুরা। গাবুরা ইউনিয়নের সব চেয়ে বড় ওয়ার্ড ৯নং এই ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউ.পি সদস্য আমি। আল্লাহর অশেষ রহমত আর জনগনের ভালোবাসায় আজ আমি তাদের প্রতিনিধি. প্রতিনিধি হওয়ার আগে থেকেই আমি আমার এলাকার উন্নয়নের জন্য নির্সার্থ ভাবে কাজ করে এসেছি. এলাকার অসহায় অবহেলিত হতদরিদ্র ও নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে এসেছি. আমার জীবন টা আগে থেকেই তাদের জন্য উৎসর্গ করা। বেচে থাকলে তাদের পাশে থেকে বাচতে চাই মরলেও তাদের জন্য মরতে চাই। এলাকার সবার সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও সবার সাথে আমার আত্নার সম্পর্ক. কান্না জড়িত কণ্ঠে আজিজুল মেম্বার আরো বলেন- আমার ওয়ার্ডের উন্নয়ন জনগণের স্বাধীন জীবন কে বাধাগ্রস্ত করতে আমার এলাকার কিছু সন্ত্রাসী দালাল দখলবাজ চাদাবাজ কুলাঙ্গাররা আমাকে দাবিয়ে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করে ৫/৭ মিথ্যা মামলা দিয়েছে আমার বাবা ও ভাইদের নামে মামলা দিয়েছে কয়েকবার আমার ও আমার পরিবারের উপর হামলা করেছে আমার শেষ সম্বল বসতভিটাও আগুনে পূড়িয়ে দিয়েছে.
প্রবাদে আছে ” রাখে আল্লাহ মারে কে ” আমি একমাত্র তার উপরেই বিশ্বাস রেখে এগিয়ে চলেছি যিনি সারা জাহানের মালিক. তার ইশারা ছাড়া একটি গাছের পাতাও নড়ে না এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।তিনি যদি চান তাহলে কারোর সাধ্য নাই আমাকে আটকাতে পারে। তোমরা আমাকে যতই মামলা হামলা ঘর বাড়ি পুড়িয়ে নির্যাতন করো না কেনো সাধারণ মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা ইস্পাতের মত শক্ত হবে। জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে ও যেমন সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম এখনো আছি আর ভবিষ্যতে ও ঠিক তেমন ভাবে থাকবো ইনশাআল্লাহ। তোমরা শুধু আমার জন্য দোয়া করো আমি যেন সকল মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেদ করে আমার অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করতে পারি. এলাকার উন্নয়নের সার্থে এলাকার মানুষের উন্নয়নের সার্থে কাজ করতে পারি। এলাকার মসজিদ মাদ্রাসা স্কুলের উন্নয়ন রাস্তা-ঘাট নির্মাণ বা পুঃসংস্করণ হাট-বাজার পুঃ সংস্করণ ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ বা পুঃসংস্করণ খাল বা পুকুর খনন দৃষ্টি নন্দনের রাস্তা ঘাট পূঃসংস্কার খাল খনন আর পানির পুকুরের সুব্যবস্থা সহ বয়স্ক প্রতিবন্ধী বিধবা বাঘেধরাসহ সকল প্রকার ভাতা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি। এলাকার যুব সমাজকে মাদক সন্ত্রাস থেকে ফিরিয়ে সৎকাজে উৎসাহিত করতে পারি। ধান্ধাবাজী চান্দাবাজী সুদ ঘুষ আর চোরাকারবারসহ সকল প্রকার অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারি। যেন সবাই হিঃস্বা বিভেদ ভুলে গিয়ে একতাবদ্ধ সমাজ গড়তে পারি এবং আমাদের এলাকাকে সকলের প্রচেষ্টায় একটা মডেল সুন্দর শান্তিপূর্ণ গ্রামে পরিনত করতে পারি এটাই আমার একমাত্র কামনা। ভালো থাকবেন সুখে থাকবেন শান্তিতে থাকবেন আপনাদের সকলের সুসাস্থ্য ও দীর্ঘু কামনা করছি।