সিরাজ উল্লাহ(কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী)প্রতিনিধিঃ-
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট পৌরসভার কার্য্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে হত্যার চেষ্টা চলছে।আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঐ দিন পৌর ভবনে ওরা হামলা ও গুলি বর্ষন করে আমার ১৫ জন নেতা কর্মী গুলি বৃদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল যাদের অনেকেই ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা ধিন অবস্থায় আছেন। প্রতিনিয়ত আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে তাদের বাড়িতে ডিবি পুলিশ প্রশাসন হানা দিচ্ছেন।আমার নেতা কর্মীরা আতংকে ভুগছেন।মেয়র মির্জা আজ শনিবার সকাল ১০.৩০ মিঃ বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘গত কয়েকদিনে আমার ৭-৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার প্রত্যেক নেতাকর্মীর বাড়িতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তাদের পরিবারের লোকজনকে নির্যাতন করছে। এখানে সবকিছু একতরফা হচ্ছে। প্রশাসনও আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে।
মেয়র আরও বলেন, ‘আমি নিজে নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগলেও আমার নেতাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছে। এ বিষয়ে প্রশাসন ও সরকার কি ব্যবস্থা নিবে তা ওরা জানে। আমার শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকা অবস্থায় আমি এখান থেকে নড়বো না। সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও সিএনজি চালক আলা উদ্দিন হত্যার ঘটনার যে তদন্ত তা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত রায় নন্দীকে দিয়ে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইকে দিয়ে করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। তদন্তে যদি আমি বা আমার কোনো কর্মীর অপরাধ প্রমাণ হয় শেখ হাসিনা যে শাস্তি দেবেন তা আমরা মাথা পেতে নেব।’