আসমাউল হুসনা,চকরিয়াঃ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজলায় সরকারীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত ও স্থায়ীভাবে পরিবেশ বিধ্বংসী পলিথিন কারখানার সন্ধ্যান মিলেছে। কারখানার নাম নিউ কর্ণফুলি পলি ইন্ডাস্ট্রিজ চকরিয়া। সাইনবোর্ডে লেখা হয় লবণের পলিথিন, পি.পি ব্যাগ, পানির পাইপ প্রস্তুতকারক এবং এসব পলিথিনের প্রধান পরিবেশক হিসেবে খোঁজ মিলেছে চিরিংগা সোসাইটি মসজিদ মার্কেটের নিচতলায় হাবিব এন্ড ব্রাদার্স এর। এই দুই প্রতিষ্টানের মালিক মাওলানা আরিফ উল্লাহ্। অনুসন্ধ্যান করতে গিয়ে মিলেছে এ কারখানার সন্ধ্যান। এটি চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাস্তার মাথা- মহাসড়ক ও স্থানীয় রশিদ মিয়ার বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত। সরেজমিন দেখা যায়, বিশাল আকারের জমি বেষ্টিত কারখানাটির চারপাশে বাউন্ডারি দেয়াল ও প্রধান ফটকে বড়সড় একটি গেইট। বাউন্ডারি দেয়ালের চারপাশে ফসলি জমি। ভেতরে রয়েছে বিলাসবহুল অফিস কক্ষ ও শ্রমিকদের থাকার জন্য আলাদা আলাদা সেমি পাকা ঘর। ভেতরে মূল কারখানায় প্রবেশে আরও একটি গেইট। যাতে মানুষ বুঝতে না পারে অবৈধ কোন কিছু তৈরি হচ্ছে। এদিকে জানতে চাইলে, কারখানার মালিক মাওলানা আরিফ উল্লাহ্ বলেন, চকরিয়ার যত সাংবাদিক আছে আপনারা সবাই মাইক ও স্পিকার নিয়ে আসেন বিস্তারিত বক্তব্য দেবো। হাবিব এন্ড ব্রাদার্সের জনৈক কর্মচারি বলেন, এ নিয়ে কুড়ি জন সাংবাদিক বক্তব্য নিয়েছেন। কিন্তু কেউ নিউজ করেননি। এটা পত্রিকায় নিউজ আসা দরকার। চকরিয়ায় পলিথিন তৈরি হচ্ছে এবং চার পাঁচজন শ্রমিক বেতন পাচ্ছে। এটি চকরিয়াবাসীর খুশির খবর। অন্যদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, অবিলম্বে এ কারখানায় উৎপাদিত পলিথিন জব্ধ করে কারখানাটি সিলগালা পূর্বক চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ডের আশু নজরদারি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।