মিসবাহ ইরান, কক্সবাজার,
চকরিয়া পৌরসভার আমান পাড়ায়স্হ গত ৩০ শে জানুয়ারী (শনিবার) দুপুর সাডে ১২টার সময় নিজ বর্গাকৃত জমিতে মরিচ ও টমেটো ক্ষেতে ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ সাইদুল হক(১৮) ও আজিজুল হক(১৬) সহ ক্ষেতের আইল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ করছিলেন।এমতাবস্থায় পার্শ্ববর্তী জমি চাষি মোঃ আমিন (৪৫), পিতাঃ মৃত গোলাম সোবহান জমিতে গিয়ে আইল পরিষ্কার করার কারনে মারধর করে সাইদুল হক ও আজিজুল হককে।
সাইদুল হক ও আজিজুল হক মারধর এর প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়।এক পর্যায়ে মোঃ আমিন ক্ষিপ্ত ও ক্ষুব্ধ হয়ে অপরাপর সোনা মিয়া(৪২), পিতা-মৃত গোলাম সোবহান ও মোঃ সোহেল,পিতা- সোনা মিয়া ডেকে হাতে দা,কিরিচ,কোদাল,লোহার লড,লাটি-সোটা ইত্যাদি হাতে নিয়ে ঘটানাস্হল বর্গাকৃত চাষের জমিতে এসে একযোগে সাইদুল হক ও আজিজুল হককে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে।সর্বশরীরে হাতে,পায়ে,বুকে-পিঠে কিল,ঘুষি,লাথি মেরে মারাত্মকভাবে তেথলা ও জখম করে।একপর্যায়ে মোঃ আমিনের হাতে থাকা ধারালো কোদাল নিয়ে হোসাইন মোঃ সাইদুল হক (১৮) কে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় লক্ষ্য করে স্বজোরে কোপ মারে,উক্ত কোপ সাইদুল হক ডান হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে কোদালের কোপ ডান হাতে পড়ে মারাত্মকভানে রগ ও হাড়কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।মোঃ আমিনের সাথে থাকা লোকজন লাঠি-সোঁটা দ্বারা একই উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে তার উপর।আজিজুল হক(১৬) ভাইকে উদ্ধারের জন্য গেলে মোঃ আমিনের লোকজন সর্বশরীর হাতে,পায়ে,বুকে,পিটে কিল, ঘুষি,লাথি মেরে তাকেও মারাত্মকভাবে জখম করে।উক্ত সময় স্হানীয় বহু লোকজন ও স্বাক্ষীগণ এগিয়ে আসলে মারধর বন্ধ করে।
মোহাম্মদ আমিন টমেটো ও মরিচ ক্ষেতে ভাংচুর করে মং- ১০,০০০/- টাকা ক্ষতিসাধন করে ক্ষেতের পরিচর্যা কাজের ২টি কোদাল,১টি বালতি,১টি হন্দা যার আনুমানিক মূল্য ২,০০০/- টাকা নিয়ে যায়।।ঘটনার পর স্বাক্ষীগনের সহযোগিতায় আহত হোসাইন মোঃ সাইদুল হজ (১৮) কে চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে ও আজিজুল হক (১৬) কে স্হানীয়ভাবে চিকিৎসা করে।চিকিৎসা করে এসে ঘটনার বিষয়ে স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কথা অমান্য করে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি,প্রাণ নাশের হুমকি,মিথ্যা মামলা জড়ানোর ইত্যাদি কথা বলে হুমকি-ধমকি সহ মহড়া প্রদর্শন অব্যাহত রাখছে।উক্ত ঘটনার বিষয়টি স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা আইনের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিলে থানায় এসে এজাহার দায়ের করতে সামন্য বিলম্ব হই।তারা আইনী প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের জোর-জুলুমবাজ লোক বিধায় খালেদা বেগমের পরিবারদের দূর্বল পেয়ে বর্ণিত জগন্যতম ঘটনা সংগঠিত করেছে।তাদের বিরুদ্ধে এজাহার রেকর্ড গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ আাদায় সহ ও নিয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধারের ব্যবস্হা করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন নিরীহ খালেদা বেগমের পরিবার।