স্টাফ রিপোর্টার ভোলা।।
চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের স্থানীয় চেয়ারম্যান বাজারে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ গ্রুপের কয়েক দফায় মারপিট করেন।
মায়ের দোয়া গার্মেন্টসের প্রোফাইটর মোঃ আব্দুল করিম অভিযোগ করে বলেন দুইজন মহিলা কাস্টমার দোকানে এসে ঈদ সামগ্রী অনেকক্ষণ পর্যন্ত দেখেন এবং পছন্দ হয় এরপর মুলামুলি করে দাম চূড়ান্ত হয় শপিং ব্যাগে করে হাতে দেই। দেওয়ার পরে উক্ত মহিলা বললেন টাকা আনতে ভুলে গেছেন পরে টাকার জন্য যেতে চাইলেন এবং সাথে থাকা মহিলা ক্রয় কৃত পণ্যটি নিতে অসম্মতি জানায় এরপর আমি ওনাদের বুঝিয়ে বলার পর উনাদের হাতে থাকা ব্যাগসহ ক্রয় কৃত পণ্য টি রেখে টাকা আনতে যান। আব্দুল করিম আরও জানান এরপর সেনেটারী ব্যবসায়ী মোঃ কালু তার দলবল সহ পরিকল্পিতভাবে জনসম্মুখে দোকানে এসে ব্যাগ রাখছে কে বলে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধোর করে আমার গায়ে থাকা শার্ট ছিড়ে ফেলে এবং পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকাসহ শার্ট টি নিয়ে যায় এবং আমাকে মারতে দেখে ভাতিজা মনির ছাড়ানোর উদ্দেশ্যে এখানে আসলে তাকে মারধোর করে এবং আমার দোকান সহ ভাতিজা মনিরের দোকানে তালা মেরে বন্ধ করে দেয়।
এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান বাজার ব্যবসায়ী কমিটির আহ্বায়ক শাহাবুদ্দিন মন্জু মিয়াঁ জানান মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিকভাবে তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি।
এসব বিষয়ে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মজিব জানান তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি করে এবং দোকানে তালা লাগিয়ে দেয় ঈদের পরে এই বিষয়ে বসাবসির কথা বলে দোকান খুলে দেওয়া হয়।
হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত সেনেটারী ব্যবসায়ী কালুর সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি তবে তার বড় ভাই ফরিদ জানিয়েছেন পরে বিস্তারিত জানাবেন এজন্য হামলাকারীদের বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
এদিকে দুপুর বারোটার সময় কাস্টমারের কাছে পাওনা টাকা চাওয়াতে পার্শ্ববর্তী দোকানদার মালেক স্টোর থেকে রাশেদ (২০)রহিম স্টোরে গিয়ে কর্মচারী শাহীন কে মারধর ও দোকানে হামলা করেন বলে জানান রহিম।
অন্যদিকে মালিক স্টোরের প্রোপাইটর রুবেল জানান আমার দোকানে কাস্টমার ডুকলে শাহীন কাস্টমারকে ডাক দেন বাজে ব্যবহার করেন সেজন্য আমার ছোটভাই রাশেদ। রহিম এর কাছে বিচার দিতে গেলে আমার ছোট ভাইকে তারা এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এসব বিষয়ে শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কথা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং তাদের আর যেন সংঘর্ষ না হয় সেই দিকে নজর রেখে তাদেরকে ঈদের পরে সমাধান দিবেন বলে জানান একপক্ষ স্থানীয়ভাবে এবং অন্যপক্ষ থানায়।