এম, আব্দুর রহমান সোহেল, চট্টগ্রামঃ গত ২২ শে এপ্রিল ২২ ইং তারিখ শুক্রবার চট্টগ্রাম কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ পরিক্ষায় সামান্য সময় দেরিতে আসায় নির্দেশনা মোতাবেক তাকে আর পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়া হল না। গেইটের সামনে অনেকের এমন হয়েছে তারা সবাই নির্বাক হয়ে দাড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে গেইট টপকানো এই বোনটিই নির্বাক থেকে সবাক হয়ে যেন যুদ্ধে নেমে পড়লেন। কতটা অসহায় হলে এভাবে গেইট টপকাতে পারে! কথায় বলে দেওয়ালে পিট টেকে গেলে, সামনে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকেনা। মেয়েটির অবস্থা সেটাই হয়েছিল! আসলেই সে একজন চাকরির সুদৃঢ় যোদ্ধা সেটাই প্রমাণিত।
চাকরি প্রত্যাশীদের চাকরিটাই প্রয়োজন। যারা চাকরিরত আছেন, আপনারাও কিন্তু একসময়কার বেকার ছিলেন। এখন চেয়ার পেয়ে মইয়ের চূড়ায় অবস্থান করছেন। মইয়ের গোড়ায় অন্যদের থাকার সুযোগ করে দিন, না হয় আপনার মই রক্ষা করার কেউ থাকবে না বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা মন্তব্য করেন। তারা আরো বলেন, একদিন না প্রশাসন তোমাকেই খোঁজবে, এবং একটা চাকরির যোগদানপত্র হাতে দিবে।
সংশ্লিষ্ট মানবতা কমিটির পরিচালকদের প্রতি সুদৃষ্টি জ্ঞাপন করছি। সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ চাকরিদাতা সংস্থাগুলো যেন চাকরি প্রত্যাশীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ করে।
শিক্ষিত বেকারদের দেশ উন্নয়নে অংশগ্রহণের সুযোগ দিন।
একটা দেশের জনশক্তি বড়ই মূল্যবান শক্তি।
চাকরিটা বংশক্রম ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। যাদের ডিএনএ সরকারি চাকরির সাথে সম্পৃক্ত নয় তারাই জানে সরকারি চাকরি কতটা কঠিন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,,,,, আপনার কাছে চাকরির সুষম বন্টন চাই।
দেশের কোন পরিবার যেন বেকারত্বের গ্লানিতে না থাকে।
ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে দেশ সেবায় এগিয়ে যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা এই বেকার গোষ্ঠীকে হতাশ করার মানুষ নন।