ছাতক প্রতিনিধি
দায়িত্ববোধ, ন্যায়পরায়নতা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমেই একজন যোগ্য ও সফল কর্মকর্তা হিসেবে একের পর এক প্রমান দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রহমান।যোগদানের পর থেকেই প্রতিটি কাজেই এ কর্মকর্তা সততা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী,বিভিন্ন উপকারভোগী ও সর্বস্তরের সাধারন মানুষের হৃদয়ে যিনি খুব অল্প সময়েই স্থান করে নিয়েছেন, তিনিই ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রহমান। উপজেলা প্রশাসনের কর্ণধার এ কর্মকর্তা এখন সর্বমহলের প্রশংসার পাত্রে পরিনত হয়েছেন। ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রহমান ছাতকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এসময় কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ চলছিলো। ওই সময় নিজের নিরাপত্তা উপেক্ষা করে উপজেলাবাসীকে কিভাবে করোনা মহামারী থেকে রক্ষা করা যায় সে ভাবনাই ছিলো তার প্রতিটি কর্মকান্ডে। সরকারীভাবে ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়ন এবং নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখার ব্যাপারে তিনি সব সময়ই সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন এবং সফলও হয়েছেন। সরকারী ভার্চুয়াল সভা-সেমিনার, জাতীয় দিবস এবং নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে তার গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা সহকর্মীদের নজর কাড়তে পেরেছেন। মুজিববর্ষ হিসেবে সরকারের দেয়া গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম সততার সহিত সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দূনীতি-অনিয়মের কোন আঙ্গুল উঠানোর সুযোগ হয়নি কারো। এ কর্মকর্তা সব চেয়ে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবসে উদযাপনে। তার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় জাতীয় বিজয় দিবস এবং সুবর্ণজয়ন্তীর দিনব্যাপী জমকালো অনুষ্ঠান এবং শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান ছিল খুবই আকর্ষনীয় ও পরিচ্ছন্ন। যা একজন দায়িত্বশীল ও দক্ষ কর্মকর্তার মাধ্যমে সম্ভব। তার অবহেলাহীন প্রতিটি কর্মকান্ডই উপজেলাবাসীকে মুগ্ধ করেছে। ইউএনও মো. মামুনুর রহমানের সবচেয়ে বড় গুন হচ্ছে সহায়তা প্রার্থী কোন ব্যক্তিই তার কাছ থেকে নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়নি। অফিস চলাকালীন সময়ে তার কার্যালয়ের দরজা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে রেখেছেন তিনি। মিষ্টভাষী ও সুদর্শন এ কর্মকর্তা সাহায্যপ্রার্থী সকলের সাথেই সৌহাদ্যপূর্ণ আচরণ করে থাকেন। মনোযোগ দিয়ে মানুষের কথা শুনেন এবং ন্যায্য কাজটুকু করে দেয়ার চেষ্টা করেন। ক্ষমতার বাইরে হলে সুন্দর পরামর্শ দিয়ে সেবা প্রার্থীর কাজ অনেকটা সহজ করে দেন। ঘুষ-দূর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি আপোষহীন। প্রলোভন বা রক্তচক্ষু দেখিয়ে কোন ধরনের অনৈতিক কাজ করানো এ কর্মকর্তা দ্বারা এখনো সম্ভব হয়ে উঠেনি। যে কারনে সর্ব মহলেই প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। সকল শ্রেনী পেশার মানুষকেই সমান গুরুত্ব দেয়ায় এখানে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরী করেছেন তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে ইউএনও মো. মামুনুর রহমান জানান, সততা, শিষ্টাচার এবং দায়িত্বপরায়নতা হলো তার পারিবারিক শিক্ষা। মানুষের সাথে সৌহাদ্যপূর্ন আচরন করাও তিনি তার পরিবার থেকে শিক্ষা গ্রহন করেছেন। তার উপর অর্পিত সরকারী দায়িত্ব তিনি সততার সহিত পালনের চেষ্টা করে থাকেন। তিনি আরো বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়ের নির্দেশনা ও পরামর্শ অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনকে সমন্বয় করে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। যতদিন এখানে থাকবেন ততদিন তিনি সহকর্মীদের নিয়ে একটি টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে যাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এ কর্মকর্তা।