টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী ও ভুট্রার আবাদ। কম খরচে বেশী লাভ হওয়ায় এলাকার কৃষকরা দিন দিন সূর্যমুখী ও ভুট্রার আবাদে ঝুঁকে পরেছেন। কৃষি বিভাগ কৃষকদেও নানা ভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। সূর্যমুখী ফুলের হলুদের সুভাষ উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও এ উপজেলায় সূর্যমুখী ও ভুট্রার আবাদ তেমন চোখে পরেনি। ২/১ জন কৃষক সখের বসে সনাতন পদ্ধতিতে সূর্যমুখী ও ভুট্রার চাষ করেছেন। কৃষি মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনায় জেলা ও স্থানীয় কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরামর্শে ও সার্বিক সহযোতিায় এলাকার কৃষকরা বর্তমানে আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী ও ভুট্রা চাষে ঝুঁকে পরেছেন।
কৃষকদের নানা ভাবে প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী ও ভুট্রা চাষের উপর। চলতি বছর মির্জাপুর উপজেলায় ৪০ হেক্টর সুর্যমুখী এবং ২শত ২০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ও ভুট্রার আবাদ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সুর্যমুখী ক্ষেতে হলুদ ফুলের সৌন্দর্য ও সুভাষ উপভোগ করতে দর্শনার্থরা ভিড় করছেন বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন।
এদিকে মির্জাপুর পৌরসভা, উপজেলার মহেড়া, জামুর্কী, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ভাতগ্রাম, ওয়ার্শি, ভাওড়া, বহুরিয়া, লতিফপুর, তরফপুর, আজগানা ও বাঁশতৈল ইউনিয়নে হাইব্রিড জাতের সুর্যমুখী ও ভুট্রার ভাল ফলন হয়েছে। ভাতগ্রাম ইউনিয়নের চাষী ফজলুল হক (৫৫) মো. মোবারক হোসেন (৩০) সিনজুরী গ্রামের কৃষক মাসুদ (৪৫) জানিয়েছেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে হাইব্রিড জাতের উন্নত জাতের সূর্যমুখী ও ভুট্রা চাষ করে তারা লাভবান হয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী ও ভুট্রার আবাদ কৃষকদের মাঝে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কম খরচে বেশী লাভ হওয়ায় কৃষকরা আগ্রহ হয়ে সূর্যমুখী ও ভুট্রার আবাদে ঝুঁকে পরেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকার কৃষকদের বীজ, সার ও কীটনাশকসহ সার্বিক ভাবে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান যায়।