ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় ৪ নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহার বরাদ্দ ছিল ভিজিএফ -১৪৭৮ ও জি আর- ৫৫৫ জন বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। সুবিধা ভোগীরা টাকা না দিয়ে কৌশলে নিজ পরিবার পরিজন দিয়ে টাকা উত্তোলন করে। এবং অভিযোগের তদন্তের খবর প্রচার হলে, অন্তত গোপনীয় ভাবে আবার সকল ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যান এর নির্দেশনায় ওয়ার্ড ভিত্তিক ৩৪২ জনের টাকা পূণরায় ১৬-৫-২০২১ ইং তারিখে সকালে বিতরণ শুরু করেন।
এমতাবস্থায় তদন্ত শুরু হলে তরি ঘুরি করে তদন্ত কর্মকর্তার নিকট হাজির হয়ে স্বীকার করেন। ডাংগীপারা ইউনিয়নের গরীব অসহায় লোক গুলো ভাতা ভোগীর তালিকায় নাম থাকার পরেও যারা পাননি, তারা হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৬ -৫ -২০২১ ইং তারিখে সকাল ১১টায় হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হাসান মুকুল সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য ডাংগীপারা ইউনিয়ন পরিষদের গণশুনানির আয়োজন করেন। এসময়ে সুবিধা ভোগীর তালিকায় থাকা নাম গুলোর মধ্যে মোহাম্মদ শামসুল হক, পিতা আব্দুর রহমান, গ্রাম বীরগড়, সিরিয়াল নং ৭৯২, মোছাঃফাতেমা ৩ নং ওয়ার্ড,মোঃ শহিদুল ইসলাম ৩ নং ওয়ার্ড,মোছাঃ আন্জুয়ারা ৫ নং ওয়ার্ড, মোছাঃ নুরজাহান ৪ নং ওয়ার্ড, মোঃ লুৎফর রহমান ০২ নং ওয়ার্ড, যাচাই বাছাই করে উপস্থিত জনগণের সমুখে তালিকা তুলে ধরেন। টিপসই ফাঁকা ও যাদের টিপসই দেওয়া ছিল,টাকা না পাওয়ার অভিযোগ ছিল তাদের অভিযোগ সততা প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থিত সকল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও মহিলা মেম্বার দের কে জিজ্ঞেস করেন, ভিজিএফ ও জি আর টাকা অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তারা সকলেই একক স্বীকার উক্তি প্রদান করেন,১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ সুলতান আলী স্বীকার করেন ১৪ জন সুবিধাভোগীকে টাকা প্রদান করা হয়নি, ২ নং ওয়ার্ডে সদস্য শ্রী কৃষ্ণ কৃঞচন্দ্র স্বীকার করেন, ৩০ জন সুবিধা ভোগী কে টাকা প্রদান করা হয়নি,৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আবদুল কালাম স্বীকার করেন,৭০ জন সুবিধা ভোগী কে টাকা প্রদান করা হয়নি। ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মোকসেদ আলী স্বীকার করেন, ৪৭ জন সুবিধা ভোগী কে টাকা প্রদান করা হয়নি, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য স্বীকার করেন ২৭ জন সুবিধা ভোগী কে টাকা প্রদান করা হয়নি,৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ শাহাদাত হোসেন স্বীকার করেন,৭২ জন সুবিধা ভোগী কে টাকা প্রদান করা হয়নি, ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য শ্রী লক্ষিন্দ্র চন্দ্র বলেন, আমাকে কোন তালিকা তৈরি করতে দেওয়া হয়নি। ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আনিসুর রহমান স্বীকার করেন ৪১ জন সুবিধা ভোগী কে টাকা প্রদান করা হয়নি। ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আফসার আলী ৪১ জন সদস্য কে টাকা প্রদান করা হয়নি। ইউনিয়নে সর্বমোট ৩৪২ জন সুবিধা ভোগী কে টাকা দেওয়া হয়নি, সকল ইউপি সদস্য বিতরণের দিন ছিলেন না,এবং তারা ১৫-৫-২০২১ ইং তারিখে চেয়ারম্যান এর নির্দেশে আমাদের কে বিভিন্ন ওয়ার্ডে তালিকা আর টাকা আজ ১৬-৫-২০২১ ইং তারিখে ,কিছু টাকা বিতরণে দায়িত্ব দেয় আর কিছু এখনো আমাদের নিকট রয়েছে। এমনটাই সকলে স্বীকার উক্তি প্রদান করেন।
ভিজিএফ ও জি আর বিতরণে দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মোঃ আবদুলাহ আল মামুন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল হরিপুর কে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
তদন্ত কর্মকর্তা হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি জানান তদন্ত করে সততা প্রমাণিত হয়েছে, এবং উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন দাখিল করা হবে, এটা আইনে প্রক্রিয়ার বিষয়।
এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হাসান মুকুল কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, তদন্ত করে সততা পাওয়া গেছে, এটা আইনের বিষয় উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট বিষয়টা প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। আইনে যা হবার তাই হবে বলে মনে করি।