জামালপুর-টাংঙ্গাল মহা-সড়কের বেলটিয়া পৌর এলাকা থেকে শুরু করে, সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়ন পর্যন্ত, বিপত কয়েক মাস যাবৎ গরু চুরি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রায় প্রতি রাতেই এ সমস্ত এলাকার গরু ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে চোর মহাশয়রা। গরু চুরি চরম হারে বৃদ্ধি পেলেও, প্রশাসন নিরব ভুমিকা জনমনে প্রশ্নের জম্ম দিয়েছে। জামালপুর সদর উপজেলার নারায়নপুর তদন্ত কেন্দ্র এলাকাই গত এক সপ্তাহে ১৩ টি গরু চুরি সংঘটিত হয়েছে। রবিবার মধ্য রাতে আবারো গরু চুরি সংঘটিত হচ্ছে, এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে, হাজারো জনতা বাইক – সিএনজি নিয়ে চোর খুজঁতে বের হয়। পরে তারা গরুসহ চোরদের সাথে নিয়ে আসা মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম খুজেঁ পাই। পরে সোমবার বিক্ষুব্ধ হাজারো জনতা জামালপুর-টাংঙ্গাল মহা-সড়ক অবরোধ করে রাখে ঘন্টা ব্যাপি।
চুরি বিষয়ে স্থানীয়রা জানান- কিছুদিন আগে আমরা গরু চোরদের টাকা ভাগা-ভাগি করার সময় স্থানীয় গ্রাম বাসীরা মিলে, তাদের হাতে নাতে আটক করি। পরে তাদের নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র তুলে দিলে, তারা তাদের ছেড়ে দেয়। উল্টো পুলিশের সহযোগীতায় গ্রাম বাসীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন চোরেরা। তারা আরো জানান, তাদের ফেলে যাওয়া জিনিসপত্র থেকে প্রশাসনের মোবাইল নাম্বারসহ বিভিন্ন এলাকার আপন মানুষের তথ্য পাওয়া যায়। দক্ষিণ জামালপুরের সচেতন মহল মনে করেন, নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা মারাত্মক অবনতি হয়েছে।
জানা যায়, নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এলাকার তিতপল্লা ইউনিয়নের সুলতাননগর গ্রামে গত এক সপ্তাহের মধ্যে গত রবিবার গভীর রাতে মোঃ হবি মিয়ার ৪টি গরু ও মুক্কা মিয়ার ১টি ষাড় গরু চুরি হয়। এবং নজরুল ইসলামের ৩টি ও লেবু ব্যাপারির ২টি ষাড় গরু চুরি হয়। এছাড়া গত রবিবার গভীর রাতে শাহবাজপুর ইউনিয়নের আঠাবাড়ী আমিননগর গ্রাম থেকে মোঃ রুবেল মিয়ার ৩টি গরু চুরি হয়েছে। শাহবাজপুর ইউনিয়নের আঠাবাড়ীর রুবেল মিয়ার ৩টি গরু তিতপল্লা উওরপাড়া শামসুল আলম নেতার বাড়ীর পাশ্বে গত রবিবার রাতে চোরেরা গরু ৩টি রেখে পালিয়ে যায়। বার বার চুরি হওয়ার পরেও কোন চোর গ্রেফতার না হওয়ায়, জনগমে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা বলেন চোরদের সাথে কাদের আতাত রয়েছে, এখন জনগনের আর বুজতে বাকী নেই।
রাস্তা অবরোধ খবর শুনে সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ রেজাউল করিম খান দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। গরু চুরির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। এ সময় নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মোঃ আব্দুল লতিফ মিয়া,
শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আয়ুব আলী খান, তিতপল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হারুনুর রশিদ সেলিমসহ স্থানীয় জনগন উপস্থিত ছিলেন।
গরু চুরির বিষয়ে দক্ষিণ জামালপুরে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাস্তা অবরোধ হলেও চুরি থেমে নেই, ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গবার সকালে কাচাঁসাড়া এলাকা ৩ টি গরু পাওয়া যায়। যা কেন্দুয়া ইউনিয়নের বিচতিয়া পাড়া এলাকার। কেন্দুয়ার জনগন জানান- এর আগেও কেন্দুয়ার কাচাঁসাড়া এলাকা থেকে ১০ টি গরু, নারিকেলী এলাকা থেকে ১৩ টি গরু, সাতকুড়া এলাকা থেকে ৯ টি গরু, কুটামনি এলাকা থেকে ৮ টি গরুসহ শতাধিক গরু চুরি হলেও প্রশাসন একজন চোরকেও ধরতে সক্ষম হয়নি। বেশির ভাগ এলাকায় জনগন রাতে শান্তির ঘুম আসতে পাচ্ছে না। যে কোন সময় বড় ধরনের দূঘটনা ঘটতে পারে।