ধনীর দুলালী ফরিদপুর মধুখালীর মেয়ের ভালোবেসে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করাই যেন কাল হলো।। ছেলের বাবা দরিদ্র স্কুল শিক্ষক, তাই একজন শিক্ষক কে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন মধুখালী থানার ওসি এবং এই ঘটনার ইন্ধনে রয়েছেন নিজ পিতা ধনকুবের সুকুমার ঘোষ বলে জানান মেয়ে সেতু ঘোষ। আতংক আর নিরাপত্তায় ভুগছেন নববধূ ও নতুন স্বজনেরা। সংবাদ সম্মেলনে পুরো বিষয় টি তুলে ধরে পরিবার ও নিজেদের নিরাপত্তা চাইলেন নব দম্পতি।
সম্প্রতি ফরিদপুর মধুখালী থানার বাগাট ঘোষ পাড়া এলাকার ধনী বাবা সুকুমার ঘোষে মেয়ে সেতু ঘোষ পার্শ্ববর্তী এলাকার দরিদ্র স্কুল মাস্টার সুশান্ত বিশ্বাসের ছেলে সজীব বিশ্বাসকে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করার কারণে সেতু ঘোষের শশুর বাড়ির লোকজন ও আত্মীয় স্বজন স্থানীয় মধুখালী থানার ওসির বিভিন্ন হয়রানি ও হুমকির ভয় হয়রানির ফলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মেয়ের বাবার টাকা-পয়সার প্রলুব্ধ হয়ে স্থানীয় মধুখালী থানার ওসি ছেলে সজিব বিশ্বাসের বাবা স্কুল শিক্ষককে থানার মধ্যে সারারাত কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখে।
এমনকি বাবা ও ছেলেকে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ক্রসফায়ার দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান সজীব বিশ্বাস। ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০০১ রাজধানী ঢাকার শিল্পকলা একাডেমীর মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী সেতু সজীব দম্পতি। ভুক্তভোগী দম্পতির পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিভিন্নভাবে ছেলের বাবা ও তার আত্মীয় স্বজনদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছি বিভিন্ন স্থানে। সজীব তার বক্তব্যে বলেন আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক তাকে থানার ওসি কান ধরে উঠবস করাতে পারে কিনা আমার আইন জানা নেই আমি আপনাদের সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে জানতে চাই। কেন এবং কি কারণে থানার ওসি অমানবিক আচরণ করেছে আমি তার বিচার দাবি করছি পাশাপাশি মধুখালী থানার ওসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে সেতু সচিব দম্পতি দেশবাসী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদেরকে মেনে না নিলেও কোনো দুঃখ নেই কিন্তু আমাদের সকল রীতি নীতি মেনে বিয়ে হয়েছে আমরা যেনো শান্তিতে সংসার করতে পারি নিজেদের বাড়িতে থাকতে পারি সে বিষয়ে প্রশাসনের সহায়তা প্রয়োজন অথচ আমরা প্রশাসনের কারণে হয়রানীর শিকার হচ্ছি যা মোটেই কাম্য নয় এ বিষয় টি তুলে ধরতে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করছি বলে জানান সেতু ঘোষ। এ সময় তার মাথায় সিদুর ও হাতে শাখা পলা দেখা যায় যা হিন্দু ধর্মের বিবাহিত নারীর চিহ্ন বহন করে এবং তারা নিজেদের বিয়ের আইনগত যাবতীয় ডকুমেন্ট সংবাদ সম্মেলনে প্রদান করেন।
উত্তর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, মধুখালী থানার ওসির এ ধরনের ঘৃণ্য অপতৎপরতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষ থেকে ভিকটিম দম্পতিদের সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য আশ্বাস প্রদান করছি ।