আমজাদ হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
নওগাঁর প্রত্যেকটি উপজেলায় মাঠে মাঠে সরিষার ব্যাপক বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে।
সরিষার হলুদ ফুলে ভরে আছে মাঠের ফসলি জমি। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছির ঝাঁক ফুলের মৌ মৌ গন্ধে আকৃষ্ট করছে মন।
এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে, ফলন ভাল হবে বলে আশা করছেন জেলার সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। নওগাঁ প্রত্যেকটা উপজেলায় সরিষা ফুলের ভরে গেছে ফসলের মাঠ।
চারদিকে তাকালে যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার।
নওগাঁ জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফসলি মাঠের শোভা বাড়িয়ে তুলেছে এসব সরিষার ক্ষেত। মাঠের চারিদিক যেন হলুদ আর হলুদে পরিপূর্ণ। এক দেখাতেই মন কাড়বে দর্শনার্থীদের। সরিষা ফুলের শোভা আরো বাড়িয়ে তুলেছে অসংখ্য মৌমাছির দল ,গুণগুনিয়ে মধু আহরণে ব্যাস্ত।
বিভিন্ন উপজেলার কৃষক, আব্দুর রশিদ, বাচ্চু, আবুল কালাম, খোরশেদ ,বেলাল হোসেন,মজিবর রহমান ও মোতাহার হোসেন,জানান সরিষার উৎপাদনের জন্য গাছ ভালোই লাগছে।
ভালো ফুলও ফুটেছে ভালো ফলনও আশা করছি আমরা।
এই সরিষার ফসলের ফলন বৃদ্ধির জন্য যে পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করা লাগতো এবার তুলনামূলক একটু কম লেগেছে। আবহাওয়া ভালো আর সরিষার দাম যদি আমরা কৃষকরা ঠিকমতো পায় তাহলে আমরা অনেক লাভবান হববলে জানান তারা।
আবার সরিষার ফুলের সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য অনেকেই ক্যামারা ও ভিডিও মাধ্যমে নিজের ছবির সাথে সরিষার ফুলের ছবি ধরে রাখছেন।
প্রত্যেকটা উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশী সরিষার চাষ করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার চাষ করে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে কৃষকরা।
এদিকে, প্রতিটা উপজেলার সরিষার আবাদ ভালো হওয়াতে তাদের কৃষকের মুখে চাঁদের হাসি । সরিষা আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশক অনেক কম লাগে ফলে, সরিষা চাষ করে মানুষ শুধু তেল-ই তৈরি করে না। এই সরিষা ভাঙ্গিয়ে খৈল ও গাছ থেকে ভূষি তৈরি হয় যা গরুর ভালো খাদ্য এবং ভালো জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
এই বিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবছর তুলনামূলক সরিষা ফসলের সার এবং কীটনাশক কম লেগেছে ।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষা ফসলের বাম্পার ফলন হবে । এবং জেলার প্রত্যেকটা অঞ্চলে আমাদের উপ-সহকারীরা ফসল এবং কৃষকের উন্নয়নে জন্য তারা কাজ করে যাচ্ছেন।