মোহাম্মদ ইউনুছ নাইক্ষংছড়ি, ১৩ ফেব্রুয়ারি’২১ইং।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বসতভিটা দখলে নিতে বাড়ি ভাংচুর করে মালামাল লুটসহ ২ ব্যক্তি আহত করে ক্ষান্ত হননি প্রতিপক্ষ মতিউর রহমান গংরা। তারা এবার প্রাণ নাশের অব্যহত হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানায়, গত ১০ জানুয়ারী রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছালামী পাড়া এলাকার বদিউল আলমের স্ত্রী জুহুরা খাতুন (৪৫), মোঃ হানিফের স্ত্রী আমেনা খাতুন (২৪) কে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার কৌশল হিসাবে মতিউর রহমান দলবল নিয়ে হামলা করে বাড়ি ভাংচুর ও মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করায় তাদেরকে এবার প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত জুহুরা খাতুন জানান, দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে আবু তাহেরের জায়গায় ভাড়াটিয়া হিসেবে আছেন তারা। ঐ দিন হঠাৎ করে মতিউর রহমানের নের্তৃত্বে একদল লোক সন্ত্রাসী কায়দায় এসে আমাদের মারধর, বাসা বাড়ী ভাংচুর ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ির মালিক আবু তাহের জানান, ১৯৮০ সালের ২৭০ নং নাইক্ষ্যংছড়ি মৌজার হোল্ডিং নং- আর/১২২ খতিয়ান মূলে সেই থেকে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। জুহুরা, আমার ভাড়াটিয়া হিসাবে আছেন। আমি ছেলে মেয়ের পড়ালেখা করাতে কক্সবাজার জেলায় বসবাস ও প্রবাস জীবনযাপন শেষ করে বর্তমানে উক্ত বসতভিটায় বসবাস করে আসছি। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষরা আমার বসতভিটা দখলে নিতে গত ১০ জানুয়ারি রাতে মতিউর রহমানের নের্তৃত্বে ২০/২৫ জন লোক এসে আমার নির্মিত ঘরটি ভাংচুর করে আমার ভাড়াটিয়াদের মারধর করে ঘরে রক্ষিত টাকা, স্বর্ণ,ধান চাউলসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঐদিন আহতরা পুলিশের ৯৯৯ হেল্প লাইনের মাধ্যমে নাইক্ষ্যংছড়ি থানাকে অবগত করেন। এর পর নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন অভিযোগের মাধ্যমে এঘটনার ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু ঐদিন নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় প্রতিপক্ষরা আমি ও আমার পরিবার কে প্রকাশ্যে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে আসছে। ওয়ার্ড মেম্বার চালা অং চাক ঘটনার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। স্থানীয়দের মতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।