মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষংছড়ি:-
সীমান্ত ঘেঁষা বান্দরবান জেলার নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা নাগরিক ভোটারের বিষয়ে প্রশাসন সজাগ থাকলেও কিছু লোভী তথ্য সংগ্রহকারী ও জন প্রতিনিধির কারনে বন্ধ হচ্ছে না রোহিঙ্গা ভোটার। দুই হাজার আট সালে ভোটার হালনাগাদের সময় ভ‚ঁয়া ডকুমেন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা নাগরিক মৌলানা মোঃ ইউনুছ ভোটার হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর সে সময়ে অভিযোগ করেন ২ নং ওয়ার্ডেট বাসিন্দা আব্দু ছালাম। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর সুপারিশ থাকলেও কৌশলে ভোটার হয় ইউনুছ। যাহার এনআইডি নং ০৩১৭৩৭৬৩৫৪৯২৬ সহ তার স্ত্রী মোতাহেরা বেগম, ছেলে আনজার শাহ ও মেয়ে মিনহাজ হাজেরা। তাদের ভোটার বাতিল করতে জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা রশিদ আহমেদ। অভিযোগ কারী জানান, মৌলানা মোঃ ইউনুছ একজন রোহিঙ্গা নাগরিক। ২০০৬ সালে সে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘিলাতলিতে কিছু পুরানা রোহিঙ্গার সহযোগিতা বসবাস করে আসছেন। কিন্তু মাত্র ১৬ বছর বাংলাদেশে বসবাস করে সে কক্সবাজার নাইক্ষ্যংছড়ি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কি ভাবে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলেন। আর যেখানে বাংলাদেশিরা ভোটার হতে হিমসিম খাচ্ছে সেখানে রোহিঙ্গারা কিভাবে সহজে ভোটার হয় তা খতিয়ে দেখতে ও তার ভোটার বাতিল করতে আমি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছি। তা আমলে নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মহোদয় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় তদন্ত দিয়েছে। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু জাফর ছালে জানান, অভিযোগটি জেলা থেকে পেয়েছি। অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে তার (মৌলানা মোঃ ইউনুছ) সহ অভিযুক্তদের এনআইডি বাতিল করা হবে। অভিযুক্ত মৌলানা মোঃ ইউনুছ কে অসংখ্যবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন রিসিব না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।