মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষংছড়ি
সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিতকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১২ মার্চ ২০২১ তারিখ আনুমানিক ০১০০ ঘটিকায় নিজস্ব সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধিনস্থ জারুলিয়াছড়ি বিওপি’র একটি বিশেষ টহল দল বিওপি হতে আনুমানিক ০৪ কিঃমিঃ পশ্চিম দিকে এবং সীমান্ত পিলার ৪৪ হতে ৫.৫ কিঃমিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কম্বনিয়া বাজারের উত্তর পার্শ্বে রাস্তায় গমন করে। বর্ণিত স্থানে একটি মোটর সাইকেল (টিভিএস-১১০ সিসি) নিয়ে আবুল মনছুর (২৪), পিতা-হাফেজ আহম্মেদ, গ্রাম-কম্বনিয়া (৭নং ওয়ার্ড), ডাকঘর ও থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান কর্তৃক (১) আরফাতুল হক (২১), পিতা- কাদির হোসেন এবং (২) আতাউল্লাহ (২২), পিতা-সুলতান আহম্মেদ উভয়ের গ্রাম-কম্বনিয়া (৭নং ওয়ার্ড), ডাকঘর ও থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান এর নিকট ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয় করার সময় তারা বিজিবি টহল দল কর্তৃক হাতেনাতে ধৃত হয়। পরবর্তীতে ধৃত আসামীদের নিকট হতে ৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট (৫৫×৩০০) = ১৬,৫০০/- এবং মোটর সাইকেল (১× ৯৫,০০০) = ৯৫,০০০ টাকা সহ সর্বমোট সিজার মূল্য ১,১১,৫০০/- (এক লক্ষ এগারো হাজার পাঁচশত) টাকা। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, মোটর সাইকেলসহ ধৃত আসামীদের নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় জমা করা হয়েছে।
সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ অস্ত্র, অবৈধ কাঠ পাচার ও পরিবহন, মাদকদ্রব্য পাচার, অন্যান্য যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার এবং এই এলাকায় যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিজিবি’র এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।