নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পরে আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে মান্নান ওরফে মনা(২৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার মনোহরদী উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের জামালপুর এলাকার জামালপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর পাশে আড়িয়াল খাঁ নদীতে ভাসমান অবস্থায় নিহতের লাশ পাওয়া গেছে।
নিহত মান্নান বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের দুলা মিয়ার ছেলে এবং কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার মান্নান পার্শ্ববর্তী গ্রামের টুক্কু মিয়া ছেলে তার ছাত্র / বন্ধু লিটনের সাথে মনোহরদী উপজেলার পাইকান এলাকায় বেড়াতে যান। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। বাড়িতে না ফেরায় তার মা-বাবা, ভাই অস্থির হয়ে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নেন। কিন্তু রাত ৯ টায় রিটন মান্নানের খুজ নিতে আসেন, তখন মান্নান এর পরিবার এর লোক তাকে জিজ্ঞেস করলে সে কিছু জানে না বলেন।পরদিন সকালে মান্নান এর ভাই বেলাব থানায় একটি জিডি করেন, তখন বেলাব থানা পুলিশ তদন্তে আসলে রিটন কে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। রিটন কে জিজ্ঞাসা করলে রিটন পুলিশকে জানায় ঐ দিন বিকালে ঘুরতে যাওয়ার পর বাড়িতে আসার সময় কিছু অপরিচিত লোক তাদের কে আটকায়, তখন অনেক কষ্টে লিটন ছুটে বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু কোথাও মান্নানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। মান্নানের বন্ধুরাও এই বিষয়ে ভাবনায় পরে যায়। মান্নানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন। অবশেষে বুধবার সকালে মনোহরদী উপজেলাধীন বড়চাপা ইউনিয়েনের জামালপুর এলাকার জামালপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এর পাশে আড়িয়াল খাঁ নদীতে স্থানীয় জনগণ ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। বিভিন্ন মাধ্যমে মান্নানের স্বজনরা লাশের খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক ভাবে মান্নানের লাশ বলে চিহ্নিত করেন।
তবে মান্নানের পরিবার এর দাবি এ টি একটি পরিকল্পিত হত্যা ও এ হত্যার সাথে লিটন মিয়া জড়িত।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে দুই থানার পুলিশ অবস্থান করছেন এবং লাশ নদীর পানি থেকে উঠানো হয়েছে।
মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিচুর রহমান জানান, লাশ মনোহরদী থানা এলাকায় পাওয়া গেলেও ঘটনা বেলাব থানা এলাকার বলে বেলাব থানা পুলিশ পরের কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
বেলাব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাফায়াত হোসেন পলাশ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পরে বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে মান্নানের বন্ধু লিটন ও তাদের সাথে রয়েছেন।