নবী-মাহমুদ, স্টাফ রিপোর্টার:
৩০ জানুয়ারী নোয়াখালীর চৌমুহনী ও হাতিয়া পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে পৌরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রশাসন। নির্বাচনের দিন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বিঘেœ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকে রাতে ফল প্রকাশ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে উপস্থিত থেকে সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিতে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন ভোটাররা। নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ভোটাররা খুশি হয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। ৩০ তারিখ ভোটের দিন চৌমুহনী ও হাতিয়া পৌরসভায় ছিলো ভোট উৎসব। ভোট উপলক্ষ্যে নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষন করতে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের সার্বিক নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ের কাজ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যেতি খীসা। চৌমুহনী ও হাতিয়া পৌরসভায় প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট প্রয়োগ করেন ভোটাররা।
চৌমুহনী পৌরসভায় ২০টির প্রতিটি কেন্দ্রে ২০ জন করে পুলিশ সদস্য সহ প্রায় ৪০০ জন পুলিশ নিয়োজিত ছিলো। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বিজিবি, র্যাাব,আনসার, মোবাইল ও স্টাইকিং এর একটি করে ভ্রাম্যমান টিম দায়িত্ব পালন করছে।
নোয়াখালী জেলা রির্টানীং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল আলম জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহন হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনে চৌমুহনী পৌরসভায় বিজয়ী হয় স্বতন্ত্র মোবাইল প্রতীক প্রার্থী মো খালেদ সাইফুল্যা। তিনি ১৩ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। অপরদিকে হাতিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীক প্রার্থী কেএম ওবায়দুল্যা । তিনি ১৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হন।
Agrajatra 24 The most investigative weekly newspaper of Bangladesh