মোঃআজিজুর রহমান,হাতিয়া হতে-
নোয়াখালীর দক্ষিণে মেঘনার বুকে সদ্য জেগে উঠে নতুন ভুমি ভাসনচর । এটি নোয়াখালী জেলার আওতাধীন হাতিয়া উপজেলায় বিচ্ছিন্ন একটি চর যার নাম দেওয়া হয় “ভাসানচর”।উক্ত চরে গড়ে উঠেছে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন কেন্দ্র। যেখানে গড়ে তোলা হয়েছে সুসজ্জিত আবাসন প্রকল্প।উক্ত আবাসন প্রকল্পের রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিব জরুরি হয়ে দাড়িয়েছে । তাই বাংলাদেশ সরকার উক্ত রোহিঙ্গা আবাসন কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য একটি পুর্নাঙ্গ থানা গড়ে তোলেন। যার নাম দেওয়া হয় “ভাসানচর থানা”।উক্ত থানাটি আজ ১৯ জানুয়ারি ২০২১ইং শুভ উদ্ভোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (এম পি)।এই সময়
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড.বেনজীর আহমেদ, নোয়াখালী(০৬) এর স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস (এম পি),হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি,সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন-রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফেরৎ যাবে। ভাসানচর ও আশপাশ এলাকার শান্তি শৃংখলার জন্য এ থানা উদ্বোধন করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা এতোদিন ভুল বুঝেছিলো যে, এখানে তাদের নানা ধরনের অসুবিধা হবে। ভাসানচরের সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা দেখে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গারা দলে দলে এখানে আসবে।আরো উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান, নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার নোয়াখালী আলমগীর হোসেন ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা সহ সামগ্রিক বিষয় সংক্ষেপে প্রধান অতিথিসহ সকলকে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য ভাসানচরে এক লক্ষ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের পরিকল্পনায় তাদের নিরাপত্তা বিধানে লক্ষ্যে ২০১৭ সালে এ থানা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ২৪ টি পদ অনুমোদন দেয়।