গত বুধবার এ খুলনা জেলা স্টেডিয়াম এর ইনডোরে কয়েকজন ছেলে দাড়িয়ে আছে দেখা যায়। দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলে তারা বিভাগীয় বক্সিং টিম এর প্লেয়ার। এ মাসের শেষ হওয়া ন্যাশনাল গেমস বক্সিং শেষ,তাই কিছুটা বিশ্রাম এ তারা, তাই তাদের সার্বিক প্রাক্টিস কালীন গ্রাউন্ডের অবস্থা দেখার জন্য তার ওখানে গিয়েছে। নতুন ভাবে রিংটা সাজিয়ে আবার প্রাকটিস সেশন এ মন দিবে তারা।
এ বারের ন্যাশনাল গেমস এ প্রাপ্তির ঝুড়ি কিন্তু খালি না,২ টা ব্রঞ্জ এসেছে।গেল বছর 2020 এও বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ গেমস এর বাছাইয়ে অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছে খুলনা জেলা বক্সিং টিম এর প্লেয়াররা। লাইটওয়েট, মিডিল ওয়েট এ তাদের সাফল্য ছিল ঈর্ষণীয়। বর্তমানে খুলনা বক্সিংয়ে মন্নু আহমেদ একমাত্র কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোচ মন্নু আহমেদ এর নেতৃত্বে প্রায় ৫-৬ জন বাংলাদেশ গেমসে খেলার সুযোগ পেল করোনাকালীন প্লেয়ার কমিয়ে দেয়ার কারণে খেলতে পেরেছে মোট ২ জন। যদিও সেখানে লাইট হেভিওয়েট, ক্রুজারওয়েইট ও হেভিওয়েট এর প্লেয়ার ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ গেমসে এই ওয়েইট গুলোর খেলা না হওয়ার কারণে সেখানে অংশগ্রহণকারী বক্সার রা বাংলাদেশ গেমসে খেলতে পারেনি। এ নিয়ে তাদের যথেষ্ট আক্ষেপ রয়েছিল। কিন্তু ন্যাশনাল এ এ ক্ষত পষিয়ে দিয়েছে সাব্বির ও অ্যান্থনি। উপরের ওয়েটে ব্রোঞ্জপদক তাদের।
খুলনার বক্সিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোচ মন্ন আহমেদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ট্রেনিং এ ইকুইপমেন্ট এর অভাব রয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের খেলা ও স্পনসর্শিপ এর অভাব রয়েছে। গত তিন বছরে মাত্র চারটি খেলা অনুষ্ঠিত হয় যার একটি বিভাগীয় এবং অপরটি জেলা পর্যায়ের, বাকি ২ টা ন্যাশনাল।এছাড়াও টোটাল কম্বাট গেম বলে এ খেলায় ট্রেনিং অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা অনেক কম।সুনির্দিষ্ট তদারকি ও আর্থিক সাহায্য ও স্পনসর্শিপ পাওয়া গেলে খুলনা বক্সিং অনেকদূর যাবে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে জেলা ক্রীড়া নবনির্বাচিত সভাপতি অত্যন্ত খেলাধুলা বৎসল। করোনা পরিস্থিতি অন্যান্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অন্যান্য খেলাধুলার মতো বক্সিংয়ের অন্তত দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে আগামী বছরে। তাদের এ প্রতিশ্রুতিতে আশা করা যেতে পারে খুলনার বক্সিং আবার আগের রূপে আসতে পারবে।
তবে কি আমরা আশা করতেই পারি যে কোচ মুন্নু ও তার বক্সিং বাহিনী খুলনার হয়ে স্বর্ণপদক এনে দিবে সামনের কোন সুদিনে!