এস.এম নুরনবী,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার ২নং আলিপুরা ইউনিয়ন এর চাদপুরা গ্রামের মো. নিজাম আকনের স্ত্রী মোসাঃ খাদিজা বেগমের গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার সংবাদ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী প্রতিবেশীদের দাবী,খাদিজা বেগমকে তার মেয়ের জামাই মোঃ শাকিল মোল্লা(২২), (পিতা.খলিল মোল্লা, ঠিকানাঃ কোটখালী) তার শাশুরীর কাছে যৌতুকের জন্য ফোন দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করে বলেন,আজকের দিনের মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা না দিলে মা ও মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এছাড়াও ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে জালিয়ে দেয়ার কথা বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে অনেক কথা বলেছেন শাকিল মোল্লা। একপর্যায়ে রাগে, ক্ষোভে তিনি দুইটি(২) গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে তাকে গলাচিপা হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার পটুয়াখালী রেফার করেন।তখন শাকিল মোল্লা ও তার এক চাচি খাদিজাকে নিয়ে এম্বুলেন্স যোগে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন, পথিমধ্যে ইসলামপুর(কৌরাখালী) খেয়াঘাট এলাকায় এসে শাকিল মোল্লা রোগীকে এম্বুলেন্সে রেখে চুল কাটেন এবং শেইভ করেন।ততক্ষণে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হয়ে যাচ্ছিলো।খাদিজা বেগমকে গলাচিপা হাসপাতালের ডাক্তার পানি খাওয়াতে বারন করলেও (শাকিল মোল্লা) তা না শুনে ফ্রীজের ঠান্ডা পানি খাওয়াতে বাধ্য করেন।এবং তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।এরপর তার চাচি ও এম্বুলেন্স ড্রাইভার (অজ্ঞাতনামা) পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে (২৮ ফেব্রুয়ারী) তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য যে,শাকিল মোল্লা এবং তার পিতা এলাকার প্রভাবশালী। খাদিজা বেগমের মেয়ে মিম আক্তার(১২) কে জোর পূর্বক বিবাহ কলমা পড়তে বাধ্য করেছেন। উক্ত বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এলাকার প্রভাবশালী ও আওয়ামী নেতারা অনেক জোড় দেখাচ্ছে এবং বিষয়টি যেন সামনে না আগায় সেজন্য হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে মেয়ের বাবাকে।
এবিষয়ে মৃত খাদিজা আক্তারের স্বামী মিজান আকন বলেন, আমার মেয়েকে আমি তার কাছে বিবাহ দিতে চাইনি,তারপর তারা জোরপূর্বক মেয়েকে বিবাহ দিতে বাধ্য করেছেন,এখন আবার যৌতুকের জন্য গালাগালি করছে সেজন্য আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে, আমি এর বিচার চাই।
খাদিজা বেগমের মেয়ে মিম আক্তার প্রতিবেদককে বলেন, আমার স্বামী আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি ও যৌতুকের টাকা চেয়ে অনেক অপমান অপদস্ত করেছেন,এজন্য আমার মা আত্মহত্যা করেছে, আমি আইনের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।