আসমাউল হুসনা,স্টাফ রিপোর্টার,চকরিয়াঃ
দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্তকরণের পর মহামারি করোনা পরিস্থিতি ঠেকাতে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করলেও মহামারি করোনার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় খোলা সম্ভব হয়নি।দিন দিন প্রতিষ্ঠানের ছুটি বেড়েই চলেছে।বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১৬ই জানুয়ারিতে অবস্থান করেছে।তবে কওমি মাদরাসা এর আওতাভুক্ত হবেনা।ফেব্রুয়ারিতে খোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন,শিক্ষামন্ত্রী ড.দীপুমনি।অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।স্কুল বন্ধের কারণে সন্তানরা পড়ায় মনোযোগী হচ্ছেনা।গরিব পরিবারের সন্তানরা পাচ্ছে না কোন শিক্ষকের সহায়তা।ফলে তারা শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে।বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অসহায় হয়ে পড়েছে।পাচ্ছেনা কোন সুযোগ-সুবিধা,পাচ্ছেনা বেতন।অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে পড়েছে।অনেক শিক্ষক অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়ে পড়েছে।
নতুন বছরের বই উৎসব ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আগামী ৩১শে ডিসেম্বর সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকের উদ্বোধন করা হবে।পহেলা জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে।বিতরণের জন্য এবছর প্রায় ৩৫ কোটি বই মুদ্রণ করেছে সরকার।প্রায় ২৪ কোটি ৩৪ লাখ বই মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য আর বাকিগুলো প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য।
২৭ শে ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মেনে বই বিতরণ আরম্ভ হবে।থাকবেনা ছাত্র-ছাত্রীদের রোল নং।নামের ভিত্তিতে ভর্তি হবে ছাত্র-ছাত্রীরা।২১শে ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ২০২১ সালের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন করেন এবং ২৮ ডিসেম্বর এ তালিকা ঘোষণা করেন।সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এই তালিকা অনুসরণ করতে হবে।২০২১ সালের মোট ছুটির পরিমাণ আছে ৮৫ দিন।