ফেনী থেকে নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ভন্ড বেলালের প্রতারনা দৈনিক শত শত নারী-পুরুষ প্রতারিত হচ্ছে। ডাক্তার না হয়েও সব রোগের চিকিৎসা দেয়ি যাচ্ছে।
এই ভন্ড বেলাল কোন খুটির বলে তবিয়তে প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছে এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ভন্ড ও প্রতারক বেলাল মোহাম্মদ আলী বাজারে চিকিৎসা দেওয়ার নামে একটি আস্তানা গড়ে তুলেছিলো, কিন্তু এলাকার জনগনের অভিযোগের ভিত্তিতে জনরোষানলে পড়ে।
এরপর ফেনী শহরে এসে কমিশন ভিত্তিক বেশ কিছু দালাল নিয়োগ দিয়ে শান্তি কোঃ রোড সংলগ্ন মতি মঞ্জিল মার্কেটে আস্তানা গড়ে তুলে। সেখানে তার এই অপকর্ম ও অবৈধ ব্যবসা লোকজনের নজরে আসে।
অপমানি অপদস্থ হওয়ার পর আস্তানা গুটিয়ে হাজী বাদশা মিয়া সড়কে পুনরায় তার অবৈধ ব্যবসার আস্তানা চালু করে। তার চিকিৎসার ধরন প্রথমে ২০ টাকা নিয়ে হাজিরা দেখে চিকৎসা শুরু করে।সেবা প্রত্যাশীদের পোষাক ও চেহারা দেখে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫,০০০-১০,০০০ টাকা আদায় করে ছাড়ে।
যারা রুগীদের বাগিয়ে আনে তাদেরকে প্রতি হাজারে ৪০০শত টাকা করে কমিশন দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে বেলালের বিরুদ্ধে। তাবিজ, তেল পড়া, পানি পড়া, আগরবাতি-মোমবাতি পড়া, বিভিন্ন আনরেজিস্টার্ড কোম্পানীর ইউনানি ঔষধ দিয়ে সে রুগীদের চিকিৎসা দেয়।
ডাংয়বেটিক্স, প্যারালাইসিস, হাঁপানি, টিবি, যৌন রোগ, বন্ধা স্ত্রীর সন্তান লাভ, ব্যর্থ প্রেমে সফলতা লাখ, স্বামী-স্ত্রীর অমিল, নষ্ট যাদুটোনা, জ্বিন ভুত তাড়ানো সহ হেন রোগ নাই যে সে ভালো করতে পারে না, সকল ধরনের রোগ সে আধ্যাতিক চিকিৎসার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে।
তার কাছে যাওয়া সেবা প্রত্যাশীদের কাছে এই প্রতিবেদক জানতে চাইলে উপকার পাওয়ার কথা একজনও শিকার করেনি।
আরও জানা যায় প্রবাসীদের স্ত্রীরা তার দালালদের খপ্পরে পড়ে অর্থ ইজ্জত দুটিই হারায়।
সংসার ভাঙ্গা ও লোকলজ্জার ভয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা মুখ খুলে না। রামগড়, মাটিরাঙ্গা, তাইনং তবলছড়ি এসব পার্বত্য জেলায় সে অনেকগুলো বিয়ে করেছে বলে জানা যায়। ঐসব এলাকায় তার কিছু সংখ্যক ভক্ত ও দালাল রয়েছে। বেকার যুবকরা তার রুগীর যোগান দেয়। এইভাবে প্রতিদিন শত শত নারী পুরুষ তার কাছে এসে চিকিৎসার নামে প্রতারিত হচ্ছে।তার এইসব চিকিৎসা সমন্ধে এই প্রতিবেদক ফেনী তত্বাবধায়কের সাথে এবিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলে ঐ ডাক্তার জানান বিজ্ঞান ভিত্তিতে এইসব চিকিৎসার কোনো স্বীকৃতি নেই, নিশ্চয় নিরীহ মানুষের সাথে প্রতারনা ছাড়া আর কিছুইনা। উল্লেখ্য যে, তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর একটি তদন্ত সংস্থা তার আস্তানায় গিয়েছে।
তার বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত করলে জানা যাবে তার এই অবৈধ ইনকামের সম্পদের পাহাড়। এই প্রতিবেদক তার মতামত জানতে ফোন করলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। যানাযায় ভন্ড বেলাল এইসব অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে।