মিসবাহ ইরান কক্সবাজার,
কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় (এলএ শাখা) বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯৬ টির মত প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে জেলায়।
আর এই এলএ শাখায় দালাল ও অবৈধ অস্থায়ী কর্মচারীদের হাতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার সাধারণ ভূমির মালিকরা।
ভূমির মালিকরা অধিগ্রহণের টাকা উঠাতে আসলে পড়ে যায় দালাল ও অবৈধ অস্থায়ী কর্মচারীদের খপ্পরে।
তাদের খপ্পরে না পড়লে এলএ শাখায় হতে হয় নানা রকম হয়রানির শিকার।
যার বেশি ভাগই এলএ শাখা ঘিরে মধ্যস্থকারী (দালাল) ও অফিসের অস্থায়ী কর্মচারীদের হাতে।
এলএ শাখা রীতিমতো দুর্নীতির খনিতে পরিনত হওয়ায় লাইফের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে দ্বিধা বোধ করতেছে না তারা।
গত বছর ফেব্রুয়ারী মাসে সার্ভেয়ারদের বাসা থেকে ৯৬ লক্ষ টাকা সহ আটক হয় সার্ভেয়ার ওয়াসিম, পলাতক ছিলেন,সার্ভেয়ার ফরিদ ও ফেরদৌস।
দুদকের জালে টাকা সহ আটক সার্ভেয়ার ওয়াসিমের স্বীকারোক্তি মোতাবেক র্যাব-১৫ ও দুদকের অভিযান আটকও হয় এলএ শাখার বেশ কিছু শীর্ষ স্থানীয় দালাল।
কিন্তু এত অভিযান চালিয়ে ও দালালরা আবারো কিভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তার অনুসন্ধানে আমরা।
দুদকের এমন সাড়াশি অভিযানের পর কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এক উর্ধতন কর্মকর্তা এলএ শাখায় অস্থায়ী কর্মাচারীদের অফিসে আসা নিষেধ করলেও তার তোয়াক্কা না করে নিয়মিত করে যাচ্ছি অফিস।
জনমুখে শুনা যায়,এলএ শাখায় বর্তমান সরকারি স্টাফরা সবাই নতুন হাওয়াতে দালালদের সাথে বেশ একটি বড় ধরণে সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রতিনিয়ত কমিশন বানিজ্য সহ নানা রকম হয়রানির মূলক কাজ করে যাচ্ছে নিষেধ এই সব অস্থায়ী কর্মচারীরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়,অফিসের সবাই রদবদল হলেও এই সব অস্থায়ী কর্মচারীদের কোন পরিবর্তন নাই,শুধু তাই নয়!
অফিসে বর্তমান সকল কর্মকর্তা ও কর্মাচারী নতুন হওয়াতে দালালদের সাথে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অফিসের দুর্নীতির খাতা আবারও খুলে বসেছে এই সব অবৈধ অস্থায়ী কর্মাচরাীরা।
বর্তমান এলএ শাখায় দালালরা ওপেন অফিসে ঢুকে অস্থায়ী কর্মচারীদের মাধ্যমে অফিসের ভিতর ও বাহিরের সমস্ত অবৈধ কাজ নীরবে চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
অফিসে অবৈধ অস্থায়ী কর্মচারীদের হাতে সাধারণ ভূমির মালিক তাদের ভোগান্তির শিকার হলেও দালালরা তাদের মনিবের মত!
যার চিত্র কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাহিরে ও ভিতরের দালাল ও অস্থায়ী কর্মাচারীদের দহরমমহরমে বুঝা যায় !
অফিসে অফিস সহকারী, সার্ভেয়ারা নতুন হওয়াতে দালাল ও সাধারণ ভূমির মালিকদের সাথে কথা বলতে বেশ দ্বিধাদ্বন্দে ভোগে কর্মকর্তা কর্মাচারীরা।
কেউ কথা বলতে গেলে দেখিয়ে দে অস্থায়ী এ-ই কর্মচারীদের!
আর সেই সুযোগ টা কে কাজে লাগিয়ে দালালরা পুরাতন অস্থায়ী কর্মচারীদের হাতে নিয়ে স্বচ্ছন্দে নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে কাজ। দালালদের পরিচয় নিশ্চিত হলে অফিস সহকারী, সার্ভেয়ার সহ সবাই যেন তাদের হুকুমের দাসে পরিনত হয়। যার ফল সুরূপ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নাই।
ফাইল খুঁজে না পাওয়া নিয়েও যেন এক রহস্যময় ঘটনা এলএ শাখা জুড়ে।
দালালরা মোটা অংকের বিনিময়ে ফাইল অস্থায়ী কর্মচারীদের থেকে আদায় করে নিলেও সাধারণ মানুষ টাকার বিনিময়েও সেই ফাইল খুঁজে পাই।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় জুড়ে যেন ফাইল খুঁজে না পাওয়ার আক্ষেপ ভূমির মালিকদের।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে পড়া থাকা এডভান্সড ও স্কেল দেওয়ার নামেও হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা!
এই সব মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে এই অস্থায়ী কর্মচারীরা।
দালালদের কাজ কোন রকম ঝামেলা ছাড়ায় হয়ে গেলেও সাধারণ জমির মালিকদের কাজ আজ কাল বলে বলে অপেক্ষামান রয়ে যাচ্ছে।
সচেতন মহলের দাবি, দুদক ও র্যাবের এত সাড়াশি অভিযানে পরও দালালরা সক্রিয় হচ্ছে কিভাবে? তা অনুসন্ধান করাও উচিত।
সরকারি স্টাফরা নিজেরা দুর্নীতি বন্ধ করার নামে হয়ত অস্থায়ী কর্মাচরীদের দিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে না তো! সেটাও খুঁজে বের করা দরকার।
তাদের এলএ শাখায় ঢুকার বারণ থাকার স্বর্থেও কিভাবে তারা অফিসে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে?এই সব কিছুর তদন্ত করা দরকার। না হলে দুর্নীতি থামানো অসম্ভব।
অনুসন্ধানে উঠে আসে ,অফিস স্টাফ ও দালালের মধ্যস্থাকারী এখন অফিসের অস্থায়ী কর্মচারীরা।
তাদের হাত দিয়ে নিয়মিত হচ্ছে দুর্নীতির খাতা!
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, দালাল ও অস্থায়ী কর্মচারীরাদের স্থায়ীভাবে এলএ শাখায় ঢুকা নিষেধাজ্ঞা না দিলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও দুর্নীতি থামানো অসম্ভব।
তাই জেলা প্রশাসকের উচিত এই বিষয়ে শক্ত অবস্থা নেওয়া।