নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ঘটনার সূত্রপাত ১৬ ফেব্রুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দুই শিক্ষার্থী তৌফিকুল সজল ও ফারজানা আক্তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বিআরটিসি বাস কাউন্টারে যায়। সেখানে রফিক নামের একজন বাস স্টাফের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাদের। এর জেরে সজলকে ছুরিকাঘাত করে রফিক। এছাড়া, ফারজানাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনার খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে দেড়টার দিকে তারা ঘটনাস্থলে হাজির হয়। দুপুর দুইটা থেকে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করেন।ঘটনার পরে ১৬ তারিখ রাতে রুপাতলীর হাউজিংয়ে ছাত্র মেসে দুবৃত্তরা অতর্কীত হামলা চালায় এতে প্রায় ১৩ শিক্ষাথী গুরুতর আহত হলে আহতদের বরিশাল শেরইবাংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ১৭ তারিখ সকাল থেকেই শিক্ষাথীরা বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে । এবং ইতোমধ্যে কুয়াকাটা এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রিবাহী বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে আবার অবরোধ শুরু করে ববি শিক্ষার্থীরা এর কারনে প্রায় ৫ কিলোমিটার , বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে নথুল্লাবাদ এলাকা পর্যন্ত যানজট লেগে যায়। এদিকে পুলিশ বলছে, অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অভিযুক্ত রফিককে আটক করা হয়েছে। উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন। উত্তেজনা নিরসনে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে শিক্ষাথীদের দাবী রাতে অজ্ঞাত শ্রমিকরা এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে শিক্ষাথীদের আহত করেছে। এদিকে সকাল থেকেই দক্ষিনাঞ্চলের বরিশাল, পটুয়াখালী ও কুয়াকাটা রুটের সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রিরা