(কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী)প্রতিনিধি-
নোয়াখালীর জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার অনুষ্ঠিত এভিএম পদ্ধতিতে অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণে নৌকা মার্কার প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা পেয়েছেন ১০৭৩৮ ভোট, তার নিকটতম বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ১৭৭৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী(জামায়াত সমর্থীত) মাওলানা মোশাররফ হোসেন পেয়েছেন ১৪৫১ ভোট। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট অনুষ্ঠিত হয়।ভোট গননা নির্বাচন কমিশন অফিস সুত্রে নির্বাচনে ৬৬% ভোট পড়েছে বলে জানা যায়। কোথায়ও কোন অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি।নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ খোরশেদ আলম নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদেরকে বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে ও সুন্দর পরিবেশে হচ্ছে।
চারিদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নোয়াখালী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, সকাল ১১টা পর্যন্ত ১৬% ভোট কাস্ট হয়েছে। নারী-পুরুষ বিপুলভাবে অংশগ্রহণ করেছে। বিশেষ করে নারীর অংশগ্রহণ বেশি। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে বলেন, এখন পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ ভোট হচ্ছে,সতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোশাররফ হোসেন ও সুষ্ঠ নির্বাচন হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানান।বিকেল ৪টা পর্যন্ত এভাবে ভোট হলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হব। স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোশাররফ হোসেন দুপুর ১টায় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে।আমরা নির্বাচনে সন্তুষ্ট।
এর আগে সকাল ১০টায় আ’লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে পরিদর্শনকালে বলেন, এ নির্বাচন ১০০% সুষ্ঠু হতে হবে। নির্বাচনী ফলাফল পাওয়ার পর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, এ জয় বঙ্গবন্ধুর জয়, এ জয় শেখ হাসিনার জয়, এ জয় ওবায়দুল কাদেরের জয়, এ জয় বসুরহাট পৌরবাসীর জয়। আমি এ জয় বাংলাদেশের আমার দলের প্রতিটি নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসর্গ করে দিলাম। আমি দল মত নির্বিশেষে বসুরহাট পৌরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা পুলিশ প্রশাসন, বিজিবি, র্যাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সুষ্ঠু ভোট করার জন্য। আমি আমার জীবনে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে পৌরবাসীকে যে ওয়াদা দিয়েছি তা পূরণ করব। আমি ওবায়দুল কাদেরের ওপর কৃতজ্ঞ, আমি শেখ হাসিনার ওপর কৃতজ্ঞ, এ জন্য যে ওনারা একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। আমি আবারও বলছি, যদি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সঠিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারেন তাহলে আগামী নির্বাচনে আমরা নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাবো।
নির্বাচিত কাউন্সিলর গণ হলেন- ১নং ওয়ার্ড -সাইফুর রহমান সোহাগ (আওয়ামীলীগ সমর্থিত), ২নং ওয়ার্ড আবুল হোসেন আরজু (আওয়ামীলীগ সমর্থিত), ৩নং ওয়ার্ড নুর হোসাইন ফরহাদ (আওয়ামীলীগ সমর্থিত), ৪নং ওয়ার্ড মাজহারুল হক তৌহিদ (বিএনপি সমর্থিত), ৫নং হারুন-অর-রশিদ শাহেদ (স্বতন্ত্র), ৬নং ওয়ার্ড জসীম উদ্দিন তালুকদার (আ’লীগের বিদ্রাহী প্রার্থী), ৭নং ওয়ার্ড মোঃ রাসেল (আওয়ামীলীগ সমর্থিত), ৮নং ওয়ার্ড নুর নবী সবুজ (বিএনপি সমর্থিত), ৯নং ওয়ার্ড এ.বি.এম ছিদ্দিক (আওয়ামীলীগ সমর্থিত), সংরক্ষিত মহিলা সব গুলো (আওয়ামী লীগ সমর্থীত) (১,২,৩) রৌশন আরা মিলি, (৪,৫,৬) মাকসুদা আক্তার হ্যাপি, (৭,৮,৯) জোসনা আক্তার নির্বাচিত হয়েছে।