রাজশাহীর বাগমারায় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদক শিক্ষক বলে অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি সাবেক প্রধান শিক্ষক পীরগাছা উচ্চ বিদ্যালয় এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ পুঠিয়ার শাহাজাহানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে রামরামা নাম মাত্র সমবায় সমিতির নামে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মৎস্য অভয়ারণ্য দখল করে মৎস্য শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বেশ কয়েকজন সরকারি- বেসরকা স্কুলের শিক্ষক মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য হওয়ায় সাধারণ অসহায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রামরামা গ্রামের বাসীন্দা মকছেদ আলী, বেলাল হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন,পাশের কয়েকটি অভায়াশ্রমে কেউ নির্ধারিত সময় ছাড়া মাছ ধরতে সাহস দেখায় না।
অথছ সাবেক প্রধান শিক্ষক রামরামা কামারখালী সুফলভোগী মৎস্য অভয়াশ্রম সমিতির নাম করে সভাপতি সেজে মোজাহার আলী নেতৃত্বে মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে মৎস্য শিকার করছেন। মৎস্য আহরণকারীদের জন্য রান্না-বান্নার কাজে নিয়োজিত বকুল চন্দ্র হালদার মাছ ধরার কথা জানিয়ে বলেন,কেবল মাত্র মাছ ধরা শুরু হয়েছে। জালে তেমন মাছ ধরা পড়ছে না।
রামরামা কামারখালী সুফলভোগী মৎস্য অভয়াশ্রম সমিতির সভাপতি মোজাহার আলীর কাছে অভয়াশ্রম থেকে মৎস্য শিকার, এবং নদী দখল বিধিসম্মত কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাগমারা মৎস্য কর্মকর্তা তাঁদের মৎস্য শিকারের অনুমতি দিয়েছেন, প্রয়োজনে মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে জানতে পারবেন বলে প্রতিবেদককে পাল্টা প্রশ্ন রাখেন ।অপর প্রশ্নের জবাবে তাঁর সমিতির নিবন্ধন নাই বলে জানিয়েছেন।
বাগমারা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল করিমের কাছে, সরকারি চাকরিজীবী সুবিধা ভোগী হতে পারেন কী না মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রশিক্ষণে রয়েছি বিষয়টি সমন্ধে জেনে আপনাকে জানাবো।