রিপোর্ট: আবিদ আহমেদ বাঁধন টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি
বাসাইল উপজেলার বাথুলী সাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনটি পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে প্রকৃত মেধাবীরা চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বাথুলী সাদী লাইলী বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, আয়া ও ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর দৈনিক মানবজমিনে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এরপর চারটি পদে ৩৪জন প্রার্থী আবেদন করেন। পরে আজ বৃহস্পতিবার চারটি পদের মধ্যে তিনটি পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ২১ জন অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ল্যাব অ্যাসিসটেন্ট পদে পরীক্ষা এদিন অনুষ্ঠিত হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম খান তার নিজের লোকদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রশ্ন ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ উঠে। তিনটি পদে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করে তার প্রার্থীদের আগেই প্রশ্ন দিয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনায় আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী জানান, অপ্রাসঙ্গিক অনেক প্রশ্ন করে পরীক্ষাকে কঠিন করা হয়েছে। এতে করে পছন্দমত প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম খান বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি, প্রধান শিক্ষক, ডিজির প্রতিনিধি ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রশ্ন তৈরি করা হয়। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ প্রার্থীরা তুলতেই পারেন। তবে এখানে কোনও প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাবুল হাসান বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের কোনও প্রকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।