আজ আবহমান বাংলার পয়লা ফাগুন ! বসন্ত তার তারিখ-ক্ষণ বদলেছে বটে তবে তার রঙ নয়! তাই আজ মোড়ে মোড়ে, পাড়ায় পাড়ায় যেন ফাগুনের দোকানদারী!
বছর দুই আগেও পর পর দুইদিন যথাক্রমে ১৩ ই ফেব্রুয়ারি ১লা ফাগুন আর ১৪ তারিখে পালিত হতো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ” ভ্যালেন্টাইন্স ডে ‘। তবে বাংলা বছরের পঞ্জিকা সংশোধনের কারণে ২০২০ থেকেই ১লা ফাগুন ও ভ্যালেন্টাইন্স ডে” একই দিন অর্থাৎ ১৪ ই, ফেব্রুয়ারিতে একসাথে পালিত হচ্ছে দুই উৎসব ।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দিবস গুলো, বাংলা বছরের দিন ক্ষণ অনুযায়ী ঠিক যে দিন ঘটেছিল তা ঠিকঠাক রাখতেই এই সংশোধনের কাজটি করেছিল বাংলা একাডেমির গবেষণা, সংকলন এবং অভিধান ও বিশ্বকোষ বিভাগ। এবং এই বিভাগের, বিভাগীয় পরিচালক জানিয়েছিলেন ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ১৬ ই ডিসেম্বর ও ২৬ শে মার্চ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবস গুলো বাংলাপঞ্জিকা অনুযায়ী যে দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এখন থেকে সেদিনে পালন করা হবে। তাই গত বছর ২০২০ থেকেই নতুন পঞ্জিকা অনুসারে পয়লা ফাগুন ও ভ্যালেন্টাইন্স ডে” ১৪ ই ফেব্রুয়ারি উদযাপনের শুরুটা হয়েছিল গতবছরেই। মহামারীর বালাই না থাকায় প্রাণ ভরেই এই দিনটি উদযাপিত হলেও বসন্ত বরণে এবার ভালোই ঘাটতি ছিল। সংক্রমনের বাড়তি মাত্রা এড়াতে প্রতিবছরের মতো এবার অনুষ্ঠানের অনুমতি না থাকায় প্রাণের চারুকলায় চোখে পড়েনি ফাগুনী আড্ডার!
একটি নাম করা বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কর্মরত ক্রিয়েটিভ কনসালটেন্ট শাওন জানান, প্রতিবারের মতো এবারেরও তিনি তার ভালোবাসার মানুষ স্ত্রীকে নিয়ে ভোরে ভোরেই ছোটেন চারুকলায়। কিন্তু এবারের চারুকলায় ছিলনা বসন্ত বরণের চিরচেনা সেই আবহ। করোনা কারনে ভীড় ভাট্টা এড়াতে কোভিড বছরে, চারুকলায় ফাগুন বরণের অনুষ্ঠান না হওয়ায়, সহরোয়ার্দী উদ্দানে সীমিত পরিসরে আজ উদযাপিত হয়েছে বসন্ত বরণ! সেই সাথে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া সহ আরো বেশ কিছু জায়গায় স্বাগত জানিয়ে ভালোবাসায় বরণ করে নেয়া হয়েছে ঋতু রাজ বসন্তকে! ইন হাউস অফিস গুলোতেও যেমন লেগেছে ফাগুন আগুন, সেই সাথে ভালোবাসা পসরা মেলেছে সবখানে! হলদে লালে সেজে আসা তরুন -তরুণীদের নিজেদের ভালোলাগার মুগ্ধ মুহুর্ত গুলোতেও আরো রঙিন হয়ে বন্দী হয়েছে অগ্রযাত্রার ফ্রেমে!
হোক না আয়োজন সীমিত – তবুও আজ ফাগুন, আজ বসন্ত, আজ ভালো বাসাবাসির দিন…শুভ ফাল্গুন!