স্টাফ রিপোর্টারঃ মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য সাংবাদিক কন্যা উর্মি (১০) কে ধর্ষন পূর্বক হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত জামিনে থাকা একমাত্র আসামী ছগির আকন ওই সাংবাদিকের অপর কন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় মেয়ের বাবা দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি জুলফিকার আমীন সোহেল মঙ্গলবার মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতিবেশী ওই ঘাতক ছগির আকন (৪২), তার সহযোগি সাইদ আকন (৫২) ও অজ্ঞাত একজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মঠবাড়িয়া থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। ঘাতক ছগির উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত কুদ্দুস আকনের ছেলে এবং সাইদ আকন মৃত মানিক আকনের ছেলে।মামলা ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, মঠবাড়িয়ার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ পূর্বক উর্মি হত্যা মামলার একমাত্র আসামী ছগির ও তার সহযোগিরা ওই সাংবাদিকের গোটা পরিবারকে খুন জখমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ও মামলা প্রতাহারের হুমকি দিয়ে আসছিলো। এ ঘটনায় সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল মঠবাড়িয়া থানায় পৃথক দুটি জিডিও করেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই সাংবাদিকের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে শর্মি আক্তার চম্পাকে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। তার গোগড়ানীর শব্দ শুনে স্থানীয় জনৈক নুরজাহান বেগম উদ্ধার করতে গেলে তাকেও লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে বিভিন্ন লোকজন এগিয়ে এলে ঘাতক ছগির ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক কন্যা ঊর্মি বান্ধবীর বাড়ি যাবার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। ২৩ জুলাই বাড়ির অদুরে একটি
পরিত্যাক্ত বাগানের নালায় ঊর্মির প্রায় অর্ধ গলিত লাশ স্বজনরা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠায়। ওই দিন নিহত ঊর্মি বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল অজ্ঞাত আসামী
করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-জিআর-২৫৫/১৭) দায়ের করেন। পুলিশ অধিকতর তদন্ত শেষে প্রতিবেশী মৃত কুদ্দুস আকনের ছেলে ছগিরকে গ্রেফতার করে। পরবর্তিতে ঊর্মির ঘাতক হিসেবে এক মাত্র ছগিরের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলাটি চলমান রয়েছে।