মিসবাহ উদ্দিন ইরান, মহেশখালী:-
মহেশখালীর তিন সংবাদকর্মী এস. এম. রুবেল, ফারুক ইকবাল ও সুব্রত আপন এই তিনজন মিলে গত ১৬ জানুয়ারী ফেসবুকে ঘোষনা দেন ১৮ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় ঘোরকঘাটা চৌরাস্তার মোড়ে ঘাটের অনিয়ম বন্ধে মানববন্ধন করবেন।
উল্লেখ্য যে মহেশখালী-কক্সবাজার ঘাটে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা চৌরাস্তার মোড়ে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। যুগ যুগ ধরে চলে আসা শোষনের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছে স্থানীয় যুবকরা সহ অন্যান্যরা। তারা চায় ঘাটের নৈরাজ্য, হয়রাণী ও বৈষম্য থেকে মহেশখালীর সাধারণ মানুষ মুক্তি পাক।
সোমবার (১৮ জানুয়ারী) সকাল ১১ টায় সংবাদকর্মী এস.এম. রুবেল, ফারুক ইকবাল, সুব্রত আপন, স্বাস্থ্য কর্মী নুরুল আলম হেলালী এই চারজনই সর্বপ্রথম মানববন্ধনে দাড়ায়। তাদের দেখাদেখি মানববন্ধনে সর্বশ্রেণীর প্রায় ২/৩শতাধিক মানুষ একাত্বতা প্রকাশ করে উপস্থিত হয়।
সংবাদকর্মী আজকের কক্সবাজার বার্তার প্রতিনিধি এস.এম. রুবেল বলেন, আমরা জনগণের বঞ্চিত অধিকার ফিরিয়ে নিতে আন্দোলনে নেমেছি৷ দীর্ঘদিন ধরে ঘাটের চলমান নৈরাজ্য রোধে এই মানববন্ধনের মূল লক্ষ্য।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দৈনিক সৈকত পত্রিকার প্রতিনিধি ফারুক ইকবাল, দৈনিক মেহেদীর প্রতিনিধি সুব্রত আপন, দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি এম. বশির উল্লাহ, কায়দাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল হোসাইন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “মহেশখালী-কক্সবাজার ঘাটের সমস্যা আজকের নয়। এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এখানে প্রতিদিন পর্যটক সহ স্থানীয়রা নানান ভাবে লাঞ্চিত হচ্ছে। এই সমস্য আমাদের একার সমস্যা নয়। এই সমস্যা সকল সাধারণ মানুষের। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘাটের নিয়মশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে। ঘাটে জনপ্রতিনিধিরা তথাকথিত ভিআইপিরা সুবিধা পায়, যা সাধারণ মানুষ পায়না।সাধারণ মানুষের ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাটে দাড়িঁয়ে থাকতে হয় অথচ ঘাটে শত শত বোট বাঁধা থাকে। প্রতিবাদ করলে ঘাট কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়তে হয়। এছাড়া মহেশখালী ঘাটে যাতে যাত্রীরা দাড়াতে পারে, তাদের জরুরত সারতে পারে, নিরাপদে বোটে উঠতে পারে তার জন্য দ্রুত সময়ে একটি পল্টুনের ব্যবস্থা করতে হবে যা ইতিমধ্যে কক্সবাজার ৬নং ঘাটে দেয়া হয়েছে। যাত্রী হয়রাণী, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও ভাড়া আদায় বন্ধে দুই ঘাটে টিকেট কাউন্টারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ৬নং ঘাটে মালামালের উপর মনগড়া অতিরিক্ত টাকা নেয়া বন্ধ করতে হবে। পর্যটকদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ টাকা টোল নেয়া পূর্বের ন্যায় ৫ টাকায় ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যতায় পর্যটন সম্ভাবনাময়ী মহেশখালী পর্যটক বিমুখ হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে ঘাটের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মাধ্যম করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।