মিসবাহ ইরান মহেশখালী,
কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর প্রায় চার লাখ মানুষের বসাবাস।জেলা শহর কক্সবাজার আসা যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হল মহেশখালী জেটিঘাট।কক্সবাজার সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্হানীয় বাসিন্দাদের।নানা অনিয়ম,অসংখ্য দুর্ঘটনা ও যাত্রীদের হয়রানি স্বীকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।এসব অভিযোগের পরও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।কিন্তু
প্রতি বছর এ জেটি থেকে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হলেও জেটি সম্প্রসারণে কর্তৃপক্ষের কোন মাথাব্যাথা নেই বলে অভিযোগ করেন জেটিঘাট পারাপার হওয়া ভুক্তভোগী বা যাত্রীরা।গত ১১ ই মার্চ মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরে মেলা হওয়া পারাপারের হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।এতে বড় ধরনের দূর্ঘটনার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৯৮৮ সালে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যের মহেশখালী জেটি নির্মাণ করা হয়।একই সঙ্গে জেটির পাশে আধা কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পলি জমে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় সংকুচিত হয়ে যায় ঘাট সংলগ্ন নৌপথ। চলাচলে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা।
যাত্রীরা জানান ভাটার সময় নিরুপায় হয়ে কোমর সমান কাদা আর হাঁটু সমান পানি ভেঙে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে পুরুষ যাত্রীরা কোন রকম চলাচল করতে পারলেও নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের চরম কষ্ট হচ্ছে।রোগীদেরও কষ্টের শেষ নেই।
এলাকাবাসীর সময়ের দাবী এ জেটিঘাট আর সংস্কার না করে খুরুশকুল চৌফলদন্ডী থেকে মহেশখালী ঘাট পর্যন্ত সেতুর বাস্তবায়ন করা হোক।এ সেতু বাস্তবায়নের জন্য এলাকাবাসীদের নেতৃত্বে কয়েকবার মানববন্ধনও করা হয়।