নিজস্ব প্রতিবেদক:
মংলার মোঃ দেলোয়ার হোসেন পিতা ছোরমান উদ্দিন সাং স্থায়ী বন্দর বুড়ির ডাঙ্গাঁ মিথ্যা তথ্য সম্বলিত ডকুমেন্ট দিয়ে সরকারের দেওয়া সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে চলেছে
মর্মে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ও জাতীয় বহু পত্রিকার শিরোনাম থেকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার সম্পর্কে জানা যায়। দৈনিক প্রজন্মের ভাবনা পত্রিকার শিরোনাম ছিল ” সন্দেহ জনক মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন বড়ই বেপরোয়া “। ২৪ জুন ২০১৮ তারিখ প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমিতে শিরোনাম ছিল ” মোংলার দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ “। ৩ জুলাই ২০১৮ তারিখ প্রকাশিত দৈনিক সংযোগ বাংলাদেশ পত্রিকার শিরোনাম ছিল ” দেলোয়ার হোসেনের দূর্নীতির গডফাদার কারা “! ২৫ জুন ২০১৮ দৈনিক আমার একুশ পত্রিকার শিরোনাম ছিল ” মোংলার স্থায়ী বন্দর বুড়ির ডাঙ্গার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ “। ১৪ জুন ২০১৮ অপরাধ তথ্যচিত্রের শিরোনাম ছিল ” মোংলায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনের দাপটে সাংবাদিকসহ মানবাধিকার কর্মীবৃন্দ আতঙ্কে “। এছাড়াও দৈনিক ইওেফাকেও দেলোয়ার হোসেনের কূ-কৃওি প্রকাশিত হয়। বিগত ৩০/১০/২০১৯ তারিখ মুক্তিযোদ্ধা সচিব বরাবর মিঃ সুদিপ সরকার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। তার প্রেক্ষিতে বিভিন্নভাবে তদন্ত হয়। জেলা প্রশাসক বাগেরহাট মহোদয়ের স্বারক নং ০৫.৪৪.০১০০.০০৮.৫৬.১১৭.১৯-৯০২ তারিখ ২৭/১১/১৯ মোতাবেক সহকারী কমিশনার ভূমি মংলা বাগেরহাট তদন্ত করেন। তদন্তের সময় উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাগন দেলোয়ারকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অস্বীকার করেন। উপরন্তু দেলোয়ার ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল মর্মে উল্লেখ করেন। দেলোয়ার হোসেন বাগেরহাটের চিতলমারী ও কচুয়া উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ঐ এলাকার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জিতেন্দ্র নাথ পাল ও আলহাজ্ব মোসলেম আলী খাঁন বলিষ্ঠকন্ঠে বলেন” দেলোয়ার হোসেন নামে আমরা কাউকে চিনি না “। সর্বপরি দেলোয়ার সঠিকভাবে কোন প্রমান পত্র দেখাতেও ব্যর্থ। এমন ধূর্ত ও ভণ্ডামি লোক সকল মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে কলঙ্ক দিয়ে চলেছে। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছে। এলাকাবাসী এই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেনকে আশু বরখাস্তের নোটিশও ঘোষণা করার জোর দাবি করেন।