মোঃমিজানুর রহমান বাহার স্টাফ রিপোর্টার:
ময়মনসিংহের ভালুকায় রমজানের শুরু থেকেই চড়া দামে ওজনে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমি ফল তরমুজ। এখানে প্রতিটি তরমুজের দাম বর্তমানে দ্বিগুণেরও বেশি। রোজা আর তীব্র তাপদাহে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ওজনে বিক্রি করায় দোকানিরা দ্বিগুণ লাভবান হলেও ঠকছেন সাধারণ ক্রেতারা।
গরমের দিনে তৃষ্ণা নিবারণে ও শরীরকে একটু সতেজ করতে তরমুজের জুড়ী নেই। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে সহজলভ্য এ মৌসুমি উপাদেয় ফলটি এখন আর সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নেই।
জানা যায়,এই প্রথম ময়মনসিংহের ভালুকায় ওজনে তরমুজ বিক্রি হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর ১ কেজি তরমুজের দাম যদি ৬০ টাকা হয়, আর তা যদি হয় রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সময়ের চেয়ে দামে দ্বিগুণেরও বেশি তাহলে বচসা না হয়ে উপায় আছে কি?
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন অনুসন্ধানকালে দেখা যায়,ভালুকা উপজেলার পাঁচরাস্তার মোড়ে ফলের দোকানগুলোতে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। তাতে একটি বড় তরমুজের দাম দাঁড়াচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৮০ টাকায়। অথচ এর আগে ৭-৮ কেজি ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৭৫ থেকে ২০০ টাকায়।
ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসকে পুঁজি করে বেশি মুনাফার জন্য এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পিস হিসেবে তরমুজ কিনে তা কেজিতে বিক্রি করে সাধারণ ক্রেতাদের পকেট খালি করছেন।
তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে পাইকারী বাজারে তরমুজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরকেও বেশি দামে তরমুজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু তারা যে তরমুজ কেজি হিসেবে কিনেননি এটাও অকপটে স্বীকার করেছেন।