স্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুর মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন ২০ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত পাকপাড়া জামে মসজিদ ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে, পরবর্তীতে ভাংচুর কারীকে আটক করে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রংপুর পাকপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ বাচ্চু মিয়ার ছেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মোঃ আবির মিয়া (৩৩), তিনি আজ সকালে আচমকা ভাবে পাকপাড়া জামে মসজিদে ঢুকে ভাংচুর করিতে থাকে সে সময় মসজিদে অবস্থান কারী মোয়াজ্জেন তাকে বাধাঁ প্রদান করিলে, ভাংচুরকারী আবির মোয়াজ্জেনের উপর হামলা চালানোর জন্য ছুটে আসে, এমতাবস্থায় মোয়াজ্জেন সেখান থেকে সরে গিয়ে চিৎকার করিলে এলাকাবাসী এসে আবিরকে আটকানোর চেষ্টা করে। আবির মিয়া এলাকাবাসীর উপরও চড়াও হয় বলে জানা যায়। এমতাবস্থায় পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় সকলে জানান আবির নিয়মিদ ভাবে মাদক সেবন করে।
এ ব্যাপারে মসজিদের মোয়াজ্জেন হাফেজ জাহাঙ্গির আলম বলেন, আমি এসে দেখি আবির মসজিদের পানির টেপ খুলে ফেলেছে, এসির পাইপ খুলে ফেলেছে, একটি গøাস ভাংচুর করেছে এমতাবস্থায় তাকে বাধা প্রদান করলে সে আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসে তখন আমি চিৎকার করলে এলাকাবাসী ছুটে আসে।
মসজিদ কমিটির সদস্য সবুজ বলেন, আমাকে সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে মোয়াজ্জেম সাহেব ফোন দিলে আমি কয়েকজনকে নিয়ে ছুটে আসি, এসে দেখি মসজিদের ভিতরে পানির টেপ সব খুলে ফেলেছে, এসির মেশিনের পাইপ লাইন ছিড়ে ফেলেছে, মেঝেতে পানি ভর্তি হয়ে গেছে। আবির আমাদের এলাকার ছেলে সে রংপুর মেডিকেলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছে। সে মাদক সেবন করে। কয়েকদিন আগে তার নিজের মার মাথা ফেটে দিয়েছে। আজ আমাদের মসজিদে হামলা করে ভাংচুর চালিয়েছে এটা মেনে নেয়ার মত না। আমরা তার বিচার আসা করছি।
এ ছাড়াও এলাকাবাসী বলেন, আমরা মসজিদ ভাংচুরের কথা শুনে ছুটে আসি এবং আবিরকে আটকানোর চেষ্টা করি। পুলিশসহ আমরা সকলে আবিরকে আটক করি এবং পুলিশের হাতে তুলে দেই। পুলিশ তাকে তাদের হেফাজতে নিয়ে নেন। তার পরিবারের লোকজন বলেন সে নাকি মানসিক রোগী, আমাদের প্রশ্ন হলো সে মানসিক রোগী হলে রংপুর মেডিকেলে চাকরি করে কিভাবে। আবার কয়েকদিন আগে আবির তার নিজের মায়ের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে এাঁ কেমন কথা। আমাদের দাবী মসজিদ ভাংচুরকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক।
এ ব্যপারে আবিরের মা ফারহানা নুর আক্তার বলেন, আমার ছেলে এতো বড় জঘন্য কাজ কোন ভাবে করতে পারেন না। আবির গত দুই মাস হতে মানসিক ভাবে অসুস্থ। এলাকার কিছু ছেলে সকাল ১১ টার দিকে আমার বাসায় এসে বলে আবির নাকি মসজিদ ভাংচুর করেছে বলে তারা আমার বাসার বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর করিতে থাকে, আমি বাধাঁ প্রদান করলেও কেউ শুনেনি আমার কথা। আমার ছেলে কিছুদিন থেকে নেশা জাতীয় কিছু খাচ্ছে। কিন্তু আজ সকালে সে কিছুই খায় নি। আমার মাথা ফেটেছে আমি রুমের ভিতরে ছিলাম আচমকা আবির দরজা জোরে ধাক্কা দিলে আমার মাথায় লেগে মাথা ফেটে যায়।
কোতয়ালী থানার (ওসি) জানান, মসজিদ ভাংচুর বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
আবির রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে আবির একজন নেশাখোর। বিভিন্ন ধরনের নেশা খায়। সে এখন পুলিশ হেফাজতে আছে অভিযোগ পেলে অভিযোগ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।