মোঃমনিরুজ্জামান
একুরিয়াম নয় পুকুরে নয় হাউজে ও বিভিন্ন পাত্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে নানা রঙের মাছ। লাল, নীল,কমলা,কালো,হলুদ সহ ১০ জাতের মাছের ছড়াছড়ি। এসব রঙিন মাছ দেখলে চোখ জুড়ায়, মন ভরে যায়। বাসা বাড়ির একুরিয়ামে শোভা পেয়ে থাকে এই মাছ। তবে হাউজে ও বিভিন্ন পাত্রে এসব মাছের চাষ করছেন রংপুর মহানগরীর আনসারীর মোড় এলাকার একজন উদ্যোক্তা ইন্জিঃ সিরাজুল ইসলাম। এই রঙিন মাছের খামার দেখতে প্রতিদিন মানুষের ভিড় জমে। সিরাজুল ইসলাম পেশায় একজন সহকারী প্রকৌশলী, তিনি অফিস শেষ করে প্রতিদিন তার খামারে সময় দিয়ে থাকেন। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে বাসার পাশে একটি পরিত্যক্ত জমিতে এই মাছ চাষ শুরু করে থাকেন।
ইন্জিঃ সিরাজুল ইসলাম জানান,২০১৮ সালের দিকে একটি একুরিয়ামে রঙিন মাছ দেখে ভাল লাগে তার, কৌতুহলী হয়ে সেখান থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন রঙিন মাছের ব্যাপারে জানতে থাকেন বলে জানান তিনি, এক পযার্য়ের এসে খামার তৈরির চিন্তা করেন, কোনো রকম হাতে কলেমে প্রশিহ্মন না দিয়ে, শুধু মাত্র অনলাইনে প্রশিহ্মনের মাধ্যমে মাছ চাষ শুরু করেন তিনি।
তার ফার্মে বর্তমান কৈ- কার্প, বাটার ফ্লাই, কমেট,গোল্ড-ফিস, রেড ক্যাপ,গাপ্পির দশ প্রজাতি ,মলির চার প্রজাতি ,সোর্টেল ইত্যাদি মাছ রয়েছে। ফার্মের ব্যাপারে বলেন,আমার ফার্মে ছোট বড় মিলে ৬০ টি হাউজ আছে, তার মধ্যে ৫০০০ লিটারের হাউস ২০ টি,২০০০ লিটারের হাউস ৪০ টি রয়েছে। মাছ আছে আনুমানিক ৩০০০০। মাছ বিক্রির ব্যাপারে বলেন,৩০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা জোড়া মাছ বিক্রয় হয়ে থাকে।
সিরাজুল ইসলাম আরো জানান, আশপাশের এলাকা থেকে শুরু করে আশপাশের জেলা থেকে লোকজন আসেন মাছ কিনতে, চাষাবাদ পদ্ধতি শিখতে। মাছদের মূলত পাখনা পঁচা, শিকড়/উকুন, হ্মত রোগ,ফুলকা পঁচা রোগ হয়। এগুলো চিকিৎসায় পরিমাণ মত লবন, পটাশ,ফিটকিরি আর চুন ব্যাবহার করি।এগুলো দিয়েই রোগ সেরে যায়। মাসে খরচ বাদে লাখ টাকা আয়ের সপ্প দেকছেন সিরাজুল ইসলাম।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মিনারা হাফিজা ফেরদৌস বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আমরা চাই এই রকম প্রকল্প হোক,তাহলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো। সঠিক পরিচর্যা থাকলে এই খামার জীবনকে বদলে দেবে। আমি তার রঙিন মাছের চাষ দেখেছি। ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ভালো লেগেছে।