রাজশাহী মহানগরে ভূয়া (MLM) কোম্পানীর ৪ প্রতারককে গ্রেফতার ও বন্দী ৩৭ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ মার্চ) রাত দেড়টায় বোয়ালিয়া মডেল থানার দক্ষিণ দড়িখড়বোনা এলাকায় থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার এবং তিনটি বাড়ী তল্লাশী করে মোট ৩৭ জন চাকুরী প্রত্যাশী বেকার যুবক-যুবতীকে উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ১টি জিএসটি মনিটর উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার মেছপাড়া জিউপাড়া গ্রামের মৃত আঃ মান্নান মন্ডলের ছেলে মোঃ মোহাইমিনুল হক মিনু (২৪) ও তার স্ত্রী মোসাঃ শিলা বেগম (২০), নাটোর জেলার সদর থানার জালালাবাদ গ্রামের মোঃ আসলাম আলীর ছেলে মোঃ শিমুর হোসেন (১৯) এবং রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার যষ্ঠিতলা গ্রামের রঞ্জন দাসের ছেলে রাকেশ দাস (৩০)।
অভিযানটি পরিচালনা করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিকের নির্দেশনায় বোয়ালিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আব্দুল লতিফ শাহ এর নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল।
সম্প্রতি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) বা ডিরেক্ট সেলস ব্যবসার ধরণ পাল্টিয়ে প্রতারণা করে যাচ্ছে কিছু কোম্পানী। এদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে দেশের চাকুরী প্রত্যাশী বেকার যুবক-যুবতীরা। অত্যন্ত লোভনীয়, অকল্পনীয় অফারের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করছে বিভিন্ন এমএলএম কোম্পানী।
২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রণয়ন করা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে করা হয় বিধিমালা, যা আবার সংশোধন করা হয় একই বছরের ২২ জুলাই। আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া এমএলএম ব্যবসা করা যায় না। সরকারের অনুমোদন ছাড়া লাইসেন্স হস্তান্তর করতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যে সমস্ত কোম্পানী ব্যবসা করছে এদের বেশিরভাগই বৈধ অনুমোদন নেই, অফিস নেই এবং দেশের প্রচলিত ব্যবসার সাথে কোন মিলও নেই।