আজ ১৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তার গোকুন্ডা এলাকায় এক কিশোরী কন্যাকে দিনদুপুড়ে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই ধর্ষককে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ,ধর্ষকদ্বয় ও ভিকটিম হতে জানা যায়, ওই কিশোরীকে তার প্রতিবেশি নির্মল চন্দ্র রায় তিস্তা ব্রীজ দেখানোর কথা বলে মোবাইলে ডেকে আনেন।
তিস্তা টোলপ্লাজা আফজালনগর এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে রিপন(৩৫) নামে এক যুবকের গোডাউনে ওই কিশোরীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গণর্ধষণ করে নির্মল ও তার বন্ধু আতিকুল।
আটক ধর্ষকরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবোত্তর এলাকার ত্রিপদ রায়ের ছেলে, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী নির্মল চন্দ্র রায় (২৮) ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের পূর্ব দালালপাড়া তিস্তা টোলপ্লাজা আফজালনগর এলাকার ট্রাক্টর চালক তৈয়ব আলীর ছেলে আতিকুল ইসলাম(২৫)।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি শাহা আলম। ওসি শাহা আলম জানান, লালমনিরহাট তিস্তা টোলপ্লাজা পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্বরত এসআই নুর আলমকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম দেবোত্তর এলাকার এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা জানালে তাৎক্ষণিক ওই পুলিশ অফিসার দুই ধর্ষককে আটক করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভিকটিমের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি এবং ওই কন্যার পরিবারের লোকজনকে ডেকেছি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মারুফা জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি ভিকটিমের সাথে কথা বলেছি। তার কথা গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ জঘন্য ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককেই আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য মামলার প্রস্তুতি চলছে।’