আসমাউল হুসনা, স্টাফ রিপোর্টার,চকরিয়াঃ
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,
আমি কি ভুলিতে পারি”
আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।বাঙালির জীবনে এক গৌরবময় ও ঐতিহ্যবাহী দিন।প্রতি বছরের ন্যায় এইবছর ও শহীদদের স্মৃতি স্মরণার্থে চকরিয়ায় পালিত হলো একুশে ফেব্রুয়ারি মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
২০ শে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার সুসজ্জিত রাখা হয়েছিল।রাত ১২.০০ ঘটিকার পর থেকে শহীদ মিনারে বিভিন্ন সংগঠন থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করতে এসেছিল।শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার্থে প্রহরী ছিল শহীদ মিনারে। সবাই খালি পায়ে মাস্ক ব্যবহার করে ছোট ছোট গ্রুপ হয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন।
করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে কোন শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধ হয়ে খালি পায়ে ফুল অর্পন করতে পারেনি।তবে বাড়ি থেকে অভিভাবকের দায়িত্বে অনেক শিক্ষার্থীরা শহীদদের স্মরণ করতে ও সম্মান জানাতে এসেছিলো।দলবদ্ধ হয়ে রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটতে কোন প্রতিষ্ঠানকে দেখা যায়নি।তাই কোনো জড়বদ্ধতা ছিলনা রাস্তা-ঘাটে ও শহীদ মিনারে।
পাকিস্তানের দাবি ছিলো উর্দুকে রাষ্ট্র ভাষা করার।কিন্তু এইদেশের সাধারণ মানুষ, ছাত্রসমাজ সেইদাবি মেনে নিতে পারেনি।বাঙালির উদ্দেশ্য ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার। তাই তারা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৪৪ ধারার আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করে।সাথে সাথে পুলিশ মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালায়।এতে সালাম, বরকত,রফিক ও জব্বার সহ আরো অনেকে পুলিশের গুলিতে বাংলাভাষার জন্য শহীদ হন।শহীদদের স্মরণ করতে ও তাঁদের প্রাণভরে শ্রদ্ধা করতে ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।আমরা শহীদদের প্রাণভরে শ্রদ্ধা করব।তাঁদের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মিষ্টি ভাষা বাংলা।তাঁদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবেনা।তাঁরা মরেনি,আমাদের মাঝে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন।