মোঃ বাদশা মিয়া- লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:
সরকারের পৃষ্টপোষকতা ও ব্যাংক ঋন না থাকলেও দিন দিন তামাক চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে লালমনিরহাট জেলার প্রায় সকল এলাকায়। জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার জন্য ফেস্টুন, ব্যানার , সাইনবোর্ড লাগানো হলেও সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই কোন কৃষকেরই। যে স্থানে জনসচেতনতা মূলক সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে, ঠিক সেই সাইন বোর্ড ঘেষেই চাষ করা হচ্ছে তামাক। এ যেন সরষের মধ্যেই ভূত। বাদ যাচ্ছে না, স্কুল , কলেজ , মাদ্রাসা । প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘেষে চাষ করা হয় এ ক্ষতিকর চামাক। শুকানো হয় রাস্তার ধারে। এ সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। তামাক চাষি পরিবারে নারী, শিশু , বৃদ্ধ সকলেই কাজ করেন । ফলে দেখা দেয় কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং এ্যজমার মত কঠিন রোগ। ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাট জেলার সবকটি থানায়ই তামাকের চাষ ব্যাপক হারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বিভিন্ন কম্পানীর অগ্রিম মহাজনী ঋণ প্রদান সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও ভাল দাম দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে তামাক চাষে আগ্রহী চাষিরা। যদিও সরকার হতে বিভিন্ন সময় তামাক ব্যাতিত অন্যান্য ফসল চাষের জন্য ফ্রীতে দেয়া হচ্ছে সার, বীজ ও বিভিন্ন প্রণোদনা। তবুও তামাক চাষে কেন আগ্রহী কৃষক এমন প্রশ্নে অনেক কৃষকের মত , তামাক চাষ করলে সময় মত বিক্রয় করা যায় কোম্পানি থেকে । তাছাড়া মাঝে মাঝেই ভুট্টার ভাল দাম পাওয়া যায় না। আলু চাষে তামাতের চেয়ে খরচ বেশি , ব্লাইড রোগে ক্ষতি বেশি ইত্যাদি কারণে তামাক চাষ করেন। মোগলহাট এলাকার কৃষক আঃ কুদ্দুস বলেন , এ বছর আলু বীজের দাম বেশি থাকায়, এবং করোনা কালীন আর্থিক সংকটের জন্য তারা আলু চাষ করতে পারছেন না। তবে যদি সরকার থেকে আমাদের বীজ আলু দিয়ে সাহায্য করতো তাহলেও কিছুটা উপকৃত হতাম।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কৃষক আঃজলিল বলেন, এবারে আগাম কপি চাষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় নতুন করে আলু লাগাতে সাহস পাচ্ছেন না, যদি শীতের কারণে নষ্ট হয়। আঃজলিলের মতো অনেক কৃষকই এবার শীত বেশি হওয়ার আশঙ্কায় আলু লাগাতে ভয় পাচ্ছেন। এমন সব সমস্যার জন্য কৃষকরা তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।এ সকল কৃষক যেন তামাক চাষ না করে, তারা যেন অন্য অর্থকারী ফসল চাষ করে ,সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ, প্রনদনা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে । তবুও থামছে না তামাক চাষ।