রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন এর উদ্যোগে রাজশাহী পেতে যাচ্ছে আরও একটি বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক। রাসিকের ১৯নং ওয়ার্ড ছোটবনগ্রাম থেকে অবস্থিত মহানগর সিটি কর্পোরেশনকে শিশুপার্কটি গড়ে তুলবে, দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয়ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। শিশু পার্কটির নাম দেওয়া হয়েছে।
দেশের মহাকাব্য বাঙালি জাতির মহানায়ক পিতা বঙ্গবন্ধুর শক্তির অধিকারী বঙ্গকন্যা বাংলাদেশ সরকার উন্নয়নের আইকন রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার, সবচেয়ে আদরের ছোট্ট ভাই শহীদ শেখ রাসেল এর নামে তৈরি করা হচ্ছে শিশুপার্ক। মহানগরে শিশু পার্কটির উন্নয়নের ব্যয় ধরা হয়েছে চার কোটি ৪২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। শনিবার (২০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে শেখ রাসেল শিশু পার্কটির কাজ এর উদ্বোধন করেন। রাজশাহী উন্নয়নের কারিগর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশনায় রাসিকের ২২নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন’সহ, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন।
এ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাসিকের ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন ও প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বক্তব্যে বলেন, ধন্য আমি গর্বিত হলাম যে। এই প্রথম আমার ওয়ার্ডে শেখ রাসেল এর নামকরণে, পার্কটির দ্রুত গতিতে কাজের উন্নয়ন গড়ে তুলতে ব্যয় হবে, চার কোটি ৪২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। এ কাজের বরাদ্দ করার মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয় লিটনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পার্কটির উন্নয়ন কাজের শেষ হলে। পার্কটিতে শিশুসহ মহানগরীর বিভিন্ন পেশায় ও সব শ্রেণীর মানুষদের জন্য মনোরম পরিবেশে একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হবে শেখ রাসেল শিশুপার্ক।
রাসিকের একান্তই স্থপতি মোঃ জহুরুল আনোয়ার অনন্ত বলেন। বর্তমানে শিশুপার্কটির ভিতরে, তেমন কিছুই নেই। সিটি কর্পোরেশন মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে, পার্কটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে, সার্বিক আলোচনা পরামর্শে শিশুপার্কটিকে দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয়ভাবে শিশুপার্কে চারপাশ সাজাতে ইতিমধ্যে দ্রুত গতিতে ডিজাইনের কাজ শুরু করা হয়েছে। এবিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়নে পার্কটির ভিতর ও বাইরের চারপাশে ডিজাইন, অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পন্ন করবে। শেখ রাসেল নামক শিশুপার্কে থাকবে উন্নতমানের নিরাপত্তা, ব্যবস্থাসহ আধুনিক প্রবেশ গেট, থাকবে শিশুদের মন জোড়ানো, ওয়াটার বডি, দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ, মুক্তমঞ্চ, সবুজায়ন, কৃত্রিম টিলা, শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড, চলাচলের জন্য রাস্তা, পাবলিক টয়লেট’সহ থাকবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য বাদশা শেখ, দৈনিক আমাদের রাজশাহী পত্রিকার সম্পাদক আফজাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাব উদ্দিন, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি মুখলেসুর রহমান মিলন, ১৯নং ওয়ার্ড উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসেন মন্ডল, ১৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুজ্জামান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাবাব আহমেদ, আজমুল হুদা লিটন, ঠিকাদার নূরুল হুদা’সহ ১৯নং ওয়ার্ড এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।