টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া গ্রামের দুই বছরের শিশু রাইসা হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের তক্তারচালা বাজারে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
এ সময় বক্তব্য দেন রাইসার মা লিপা আক্তার,হাতিবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু নরেশ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান রবীন, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রনি আহমেদ,বহুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম,জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ খান,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি খালেকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান ঝন্টু সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ । তাঁরা সকলেই হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সুমা খানের মা ও ভাইকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
নিহত রাইসা ওরফে বুশরা উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া গ্রামের ইরাক প্রবাসী রাজু খানের মেয়ে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া সুমা খান সম্পর্কে রাইসার প্রতিবেশী দাদি।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর সুমা খান ও তাঁর স্বামী আরমান খানকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরো বলেন, এই হত্যার সাথে যদি আরো কেউ জড়িত থাকে, তাহলে তদন্ত করার পর তাদের গ্রেফতার করা হবে।
নিখোঁজের ৫ ঘণ্টা পর সোমবার রাত ১০ টায় উপজেলার হতেয়া কেরানীপাড়া দাদির রান্না ঘর থেকে রাইসার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে রাইসার মা লিপা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার পর পুলিশ প্রতিবেশী আরমান খান (৩৫) ও তাঁর স্ত্রী সুমা খানকে (২৫) মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে। পরে বুধবার তাঁদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। একই দিন সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুমা খান শিশু রাইসা হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তবে সুমা খানের স্বামী আরমান খান আদালতে এই হত্যার দায় অস্বীকার করেছেন।