নাটোরের সিংড়া উপজেলা ৩ নং ইটালী ইউনিয়নের কয়াখাশ গ্রামে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা।
গত (০৩ ডিসেম্বর ) সকালে উপজেলার কয়াখাশ গ্রামের মহাতাব আলীর পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে গ্রামের কতিপয় কিছু ছোট ছেলে মেয়েরা লাশ ভেসে উঠতে দেখে গ্রামবাসীদের খবর দেয়। গ্রামবাসীর ধারনা কোন অবৈধ সম্পর্কের বলী নিশ্পাপ শিশুটি। তারপর ঘনাটি জানাজানি হলে এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাশটি দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।
পুকুরে অজ্ঞাত শিশুটির লাশ ভেসে উঠতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার করে সিংড়া থানা পুলিশ।
সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। সমস্ত জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার আসল সত্য বেরিয়ে এলো জনতার সামনে। মুখোশ উন্মোচন হলো সেই অজানা সত্যের। কয়াখাশ গ্রামের আব্দুস সোবাহানের (৫৫) পুত্র রশীদ আলী (৩০) নামের ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের কাজলী (২৮) নামের এক মেয়ের অবৈধ সম্পর্কের ফলে শিশুটির জন্ম হয়।
পরে সন্তান প্রসবের কথা স্বীকার করে কাজলী।
ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে কাজলী খাতুন সাংবাদিকদের বলেন ঘটনা সত্য। সন্তনের পিতা আব্দুর রশীদ আলী। এক বৎসর পূর্বে রশীদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। তারপর বিধিন্ন সময়ে তারা অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কিছুদিন পর কাজলী গর্ভবতী হলে বিষয়টি রশীদকে অবহিত করে। রশীদ কাজলীর কথায় কর্নপাত না করে কিছুদিনের মধ্যে পারিবারিক ভাবে অপর আরেক জনকে বিয়ে করে।
এদিকে রশীদের বিয়ের বেশ কয়েক মাস পার হবার পর সাপরগাড়ী গ্রামের সামাদের (৩৫) সাথে হঠাৎ করে কাজলীর আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। তখনও কাজলী ৮ মাসের সন্তান সম্ভবা। বিয়ের পরেদিন কাজলী বাবার বাড়িতে আসলে তার স্বামীকে চেতনা নাশক ঔসধ খাইয়ে অচেতন করে পরিবারের সহায়তায় ইংজেকশনের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটানো হয়। পরে নবজাতক শিশুটিকে কাজলীর মা পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।
ধারণা করা হচ্ছে লোক লজ্জার ভয়ে তারা এমন কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।
অপরদিকে কাজলীর স্বামী সামাদ (৩৫) বলেন, একজন গর্ভবতী মেয়েকে আমার সাথে বিয়ে দিয়ে আমার সাথে প্রতারনা করেছে। আমি কোন ভাবেই বিষয়টা মেনে নিতে পারছি না। আমার সাথে যা কিছু হয়েছে আমি তার বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৩ নং ইটালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অরিফু ইসলাম (আরিপ) মুঠোফোনে বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি মাত্র। ঘটনাটি যাই হোক আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।